19.9.14

ইরাক এবং আশ-শামের (সিরিয়ার) বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন এবং গোত্রের প্রতি আহ্বানঃ নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধ করুন, কারণ সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য আমেরিকা এই লড়াই থেকে ফায়দা লুটছে

بسم الله الرحمن الرحيم

ইরাক এবং আশ-শামের (সিরিয়ার) বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন এবং গোত্রের প্রতি আহ্বানঃ নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধ করুন, কারণ সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য আমেরিকা এই লড়াই থেকে ফায়দা লুটছে
(অনুবাদকৃত)

ইরাক এবং সিরিয়ার ঘটনাপ্রবাহ উত্তরোত্তর গতিবৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর সাথে যুক্ত হয়েছে ১৮.০৮.২০১৪ ইং তারিখে ওবামার দেয়া মন্তব্য এবং তার প্রতিরক্ষা সেক্রেটারী হেগেল এবং চীফ অব ষ্টাফ ডেম্পসির ২২.০৮.২০১৪ ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য প্রেস কনফারেন্সে এই অঞ্চলে সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য ওবামার দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা নিয়ে মন্তব্যের মধ্য দিয়ে... এবং আমেরিকার সামরিক হস্তক্ষেপকে সমর্থন করবে এমন একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠনের পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে... উদ্ধারের নামে আমেরিকার সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য এই অঞ্চলের কিছু ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ এবং সামরিক কর্মকর্তাদের কর্তৃক প্রকাশ্য দাবি আসার পরই কেবল এসব সংঘটিত হচ্ছে! আমেরিকা ইতিমধ্যে বিমান হামলা শুরু করে দিয়েছে... ১৬.০৮.২০১৪ইং তারিখে সিরিয়ান কোয়ালিশন ইরাককে অনুসরণ করে সিরিয়ায় আমেরিকার হস্তক্ষেপের জন্য জোর দেয় এবং অনেকটা অনুযোগের কিংবা মিনতির সূরে বলে, কেন আমেরিকা এই দ্বৈতনীতি অনুসরণ করছে- ইরাক হামলা করছে অথচ সিরিয়াতে করছে না!

আমেরিকা; ইরাক এবং আফগানিস্তানে যার নৃসংশ আগ্রাসন এবং পাকিস্তান এবং ইয়েমেনে ড্রোন ক্রমনের শিকার হওয়ার পর এই অঞ্চলের মুসলিমগণ এবং সাধারণ জনগণ তাকে থুথু নিক্ষেপ করেছে, তারপরও ইচ্ছাকৃতভাবে এবং স্বপ্রনোদিত হয়ে মার্কিন সামরিক হস্তপেক্ষের পক্ষের সর্বোৎকৃষ্ট ওকালতকারীরা সেই মার্কিন সামরিক হামলার জন্যই বরং কাকুতি-মিনতি করছে নিশ্চয়ই এটা মার্কিনীদের দমন-নিপীড়ন এবং জোরপূর্বক হস্তক্ষেপের চেয়েও চরম উদ্ধত্যপূর্ণ একটি অপরাধ সুতরাং, নিজের হাতে বিষধর সাপকে ঘরে ডেকে এনে নিজেকে, নিজের সন্তান এবং ঘরের সবাইকে হত্যা করতে দেয়ার চেয়ে সাপের ক্রমনের শিকার হওয়া এবং নিজেই আত্মরক্ষার চেষ্টা করা হাজারগুণে উত্তম! কারণ মার্কিনীদের আগুন হতে যারা আলোর আকাঙ্খা করে তারা অন্ধকারাচ্ছান্ন, বধির এবং চোখ থাকতেও অন্ধ!

কিন্তু কার প্ররোচণায় এরকম সময় এবং স্থানে কাকতালীয়ভাবে এধরনের ঘটনাসমূহ সংঘটিত হচ্ছে? এবং আমেরিকা কি চাচ্ছে, সে কি ক্রান্তের পরিকল্পনা করছে এবং সে এই হামলা থেকে কি চায়... কি কারণে চরিত্রহীন-নির্লজ্জ মার্কিন পক্ষাবলম্বনকারীরা সামরিক হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছে? যেকেউ বিষয়টিকে পর্যবেক্ষন করলে দেখতে পাবে যে ইরাক সিরিয়ায় বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর পরস্পরের মধ্যে বিদ্যমান সংঘর্ষ হতে আমেরিকা ফায়দা লুটছে... যালিম শাসকদের অপসারণের লক্ষ্যে আন্দোলনগুলো গড়ে উঠার পর লক্ষ্য পুরোপুরি উল্টে যায়; শুধুমাত্র যাদের প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষিত করেছেন তারা ব্যতীত বাকিরা কাফির সাম্রাজ্যবাদীদের কিংবা যে শাসকদের পরিবর্তনের জন্য তারা রাস্তায় নেমেছিল তাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত আন্দোলনের পরিবর্তে নিজেদের মধ্যে লড়াইরত আন্দোলনে পরিণত হয়! এবং সর্বোপরি লড়াইরত কোন পক্ষই এই প্রশ্ন করছে না যে, এসব কিছু কেন হচ্ছে? অভীষ্ট লক্ষ্য যার জন্য তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তা হতে বিচ্যুত হয়ে তারা কোথায় যাচ্ছে? পাশাপাশি তাদের কেউ এটা ভেবেও আশ্চর্য হচ্ছে না, কেন এই বিদ্রোহী গ্রুপগুলো, আইএসআইএস এবং অন্যান্যরা সংঘর্ষে লিপ্ত? কেন তারা সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন শহরগুলোকে মুক্ত করার পরিবর্তে নিজেদের নিয়ন্ত্রনাধীন স্বাধীন শহরগুলো নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত?

হে মুসলিমগণ! আমরা হিযবুত তাহরী, আমাদের অবস্থান থেকে আইএসআইএস সংগঠন, বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন এবং গোত্রগুলোর প্রতি নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধের এবং একে অন্যের দোষ না খুঁজে নিজেদের মধ্যকার মতবিরোধ সংশোধনের অঙ্গীকারের আহ্বান জানাচ্ছি, নতুবা তারা আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে... মুসলিমদের স্বার্থরক্ষার দৃষ্টিকোন থেকে আমরা এই আহ্বান জানাচ্ছি এবং আমাদের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয় যখন আমরা দেখি আইএসআইএস এবং অন্যান্য সংগঠনগুলো একদিকে আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে গেরিলা অভিযান চালাচ্ছে, আবার একই সময়ে একে অপরকে শেষ করতে পারদর্শীতা দেখাচ্ছে! এসব কিছুর প্রতিই আমরা দৃষ্টিপাত করছি এবং ব্যথায় দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছি... এবং অনেক আশা প্রত্যাশা নিয়ে তাদের প্রতি নিম্নোক্ত আহ্বান রাখছিঃ

§  প্রথমতঃ আইএসআইএস-এর উচিত তাদের সংঘটিত কর্মকান্ডের জন্য আল্লাহকে ভয় করা, তারা যাতে আর কোন মুসলিমকে হত্যা না করে, কারণ একজন মুসলিমের রক্ত আল্লাহর নিকট অনেক সম্মানের বস্তু এবং তাদের উচিত তথাকথিত বৈ খিলাফতের ঘোষণাকে প্রত্যাহার করা, কারণ খিলাফত প্রতিষ্ঠার পথটি সর্বজনবিদিত, অস্পষ্ট নয় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সীরাতের মাধ্যমে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে তা আমাদেরকে দেখিয়েছেন, আর তা হচ্ছে রাষ্ট্র গঠনের উপাদান সম্বলিত কোন একটি দেশের সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে নুসরাহ (সামরিক সহায়তা) চাওয়া এবং অতঃপর দেশের সাধারণ জনগণের কাছ থেকে তাদের স্বেচ্ছায় সন্তুষ্ট চিত্তে আনুগত্যের বাইয়াত গ্রহণ করা... কিন্তু আইএসআইএস শারীআহ আনুগত্য না দেখিয়ে বরং নৈসলামী ভিত্তিতে তাদের সমস্ত কর্মকান্ড সম্পাদন করেছে, যা তাদেরকে শত্রুতা এবং সংঘর্ষের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে এবং পূর্বেও দিয়েছে আইএসআইএস এবং অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ ক্রমেই বিস্তার লাভ করছে এবং তাদের পরস্পরের সম্পর্ক এখন রক্তে রঞ্জিত যেখানেই আইএসআইএস প্রবেশ করছে সেখানকার জনগণ এর অধীনে নিরাপদে বসবাস করবে তো দূরের কথা বরং ভয়ে পালাচ্ছে...সুতরাং আইএসআইএস-এর উচিত এসব ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং ভুল হতে শিক্ষা গ্রহণ করা একটি মহৎ গুণ

§  দ্বিতীয়তঃ আমেরিকা, পশ্চিমা, তাদের দালাল এবং অনুসারীদের সাহায্যের আকাঙ্খাকারী গেরিলা সংগঠনগুলোকে উদ্দেশ্য করে বলছি... সাম্রাজ্যবাদী কাফেরদের নিকট আপনাদের সাহায্য প্রার্থনা একটি ভয়াবহ অপরাধ এবং সূক্ষ্মজ্ঞান এবং দূরদর্শিতার অভাবও বটে যে দালালদের মার্কিনীরা এবং পশ্চিমারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, কিভাবে তাদের অপসারণের জন্য তারা আপনাদের সাহায্য করতে পারে, যদি না তারা আপনাদেরকে তাদের স্থলে নতুন দালাল হিসেবে দেখতে চায়? জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি মাত্রই তা আগুনের চুল্লিতে লাফ দেয়ার শামিল, আপনাদের মধ্যে কি আক্কেল-জ্ঞানসম্পন্ন একজন ব্যক্তিও নাই?

§  তৃতীয়তঃ গোত্রগুলোর প্রতি... গোত্রগুলোর ইসলামী চেতনায় উদ্দীপ্ত, জনগণ কর্তৃক সমাদৃত সম্মানিত সাহসী পুরুষদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি, নিজেদের পরস্পরের সাথে যুদ্ধরত এসব মুসলিম গোষ্ঠীর কোনটিকে সমর্থন করবেন না; তারা সাম্রাজ্যবাদী কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে না এবং যদিও তারা দাবি করে যালিম শাসকদের অপসারণের উদ্দেশ্যে তাদের উত্থান ঘটেছে, কিন্তু এসব শাসকদের মোকাবেলায় তারা একত্রিত হয় না বরং একে অপরের সাথে লড়াই করতে বিভিন্ন কুটবুদ্ধি নিয়ে একত্রিত হয়... সুতরাং তাদেরকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রন করুন এবং সঠিক পথ প্রদর্শন করুন, যে পথ তাদেরকে নবুয়্যতের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত করবে, যার অধীনে জনগণ নিরাপদ, ভীত-সন্ত্রস্ত্র হবে না... এবং তারা দলাদলি, বিভক্তি, জাতিগোষ্ঠী এবং ভৌগলিক সীমানার ভেদাভেদের উর্ধ্বে উঠে আসবে...

§  চতুর্থতঃ তোমার প্রতিপালক যাদের ওপর রহমত করেছেন, তারা ব্যতীত [সূরা হুদঃ ১১৯]; অর্থাৎ যারা তাদের প্রতিপালকের নিকট কৃত ওয়াদা পূরণে ত্নবান এবং নবুয়্যতের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সাহায্যকারী... যারা অন্যান্য ইসলামী গোষ্ঠীর সাথে যুদ্ধ হতে বিরত আছেন এবং লক্ষ্য অর্জনে স্থির আছেন, যে লক্ষ্য অর্জনে তাদের উত্থান ঘটেছিল, তাদের উদ্দেশ্য করে বলছি... আপনারা যে সঠিক পথকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তার উপর অবিচল থাকুন এবং মুসলিমদের রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত এসব সংগঠনের সংখ্যাধিক্য দেখে হীনমন্যতায় ভুগবেন না কারণ আল্লাহর দাড়িপাল্লায় নিষ্ঠাবান কিছু লোকের ওজন মিথ্যার বহুগুণ ওজনের চেয়ে অনেক অনেক ভারী এবং সৎপথ অনুসরণকারীদের জন্য সফলতা অনিবার্য

এবং আমি ইচ্ছা করলাম যে দেশে তাদেরকে হীনবল করা হয়েছিল, তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে; তাদেরকে নেতৃত্ব দান করতে এবং দেশের উত্তরাধিকারী করতে [সূরা আল-কাসাসঃ ]

হে মুসলিমগণ! হিযবুত তাহরী ৬০ বছর ধরে যে সত্যের পথে মানুষকে আহ্বান করছে তার উপর অবিচল আছে এবং এক ইঞ্চি পরিমাণ বিচ্যুত না হয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রদর্শিত পথে নুসরাহ (সামরিক সহায়তা) মাধ্যমে আল্লাহর জমীনে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যদিও চারিদিকে এই প্রচারণা চলমান আছে যে নুসরাহ মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা কায়েমের পথটি সময়সাপেক্ষ এবং জোরপূর্বক জনগণের উপর শাসন কায়েম করা স্বল্প দ্রুততম পথ এসব গোষ্ঠীসমূহ এটা উপলব্ধি করে না যে, বিষয়টি শাসনক্ষমতা প্রাপ্তি কিংবা যেনতেন কোন এক প্রকারের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া কিংবা যেনতেন কোন এক পদ্ধতি অনুসরণের বিষয় নয়, বরং বিষয়টি হচ্ছে নবুয়্যতের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠার বিষয় এবং এই পদ্ধতিটি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কর্তৃক প্রদর্শিত, যা তিনি (সাঃ) আল-আজিজ আল-হাকিম (সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী) কর্তৃক নাযিলকৃত ওহী দ্বারা আলোকিত উজ্জ্বল করেছেন... অন্য কোন পদ্ধতি হয়ত তাৎক্ষনিক কোন এক প্রকার শাসনের স্বাদ দিবে কিন্তু তা হবে অত্যন্ত যন্ত্রনাদায়ক বিষাদগ্রস্ত শাসন, যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা, তাঁর রাসূল এবং বিশ্বাসীদেরকে কখনও সন্তুষ্ট করবে না...কারণ খিলাফত কোন অন্তঃসারশূণ্য নাম নয়... বরং এটা একটি নিরাপদ এবং নির্বিঘ্ন খিলাফত এর ছায়াতলে নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে বসবাসের জন্য জনগণ এতে পাড়ি জমাবে এবং নির্যাতন আতংকে তা হতে পালাবে না... খিলাফত রাষ্ট্রে জনগণ তার জান-মাল-সম্মান-সম্পদ-বাসস্থানের নিরাপত্তা এবং রক্তপাত-সম্মানহানী-বাড়িঘর ধ্বংস-সম্পদের জবরদখল হতে নিরাপত্তা প্রাপ্ত হবে... খিলাফত রাষ্ট্র শুধুমাত্র মুসলিম দেশগুলোতেই এর ন্যায়ের শাসন ছড়িয়ে দেবে না, বরং এর সভ্যতাকে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিবে খিলাফত রাষ্ট্রে মুসলিম এবং অমুসলিমরা নিরাপত্তা প্রাপ্ত হবে এবং প্রত্যেকেই ন্যায়নিষ্ঠ এবং সন্তুষ্টচিত্তে তাদের অধিকারসমূহ ভোগ করবে...

হিযবুত তাহরী হচ্ছে এমন একটি পদপ্রদর্শক, যে তার জনগণকে মিথ্যা আশ্বাস দেয় না এবং আপনাদের মধ্য হতে উদ্ভূত এই হিযব তার আহ্বানে আপনাদের সাথে ছিল, থাকবে... যারা চিন্তাশীল বিবেকসম্পন্ন, যারা চিন্তাশক্তি কাজে লাগিয়ে মনযোগ সহকারে শ্রবণকারী, তাদের প্রতি হিযবুত তাহরী-এর আহ্বান - আপনাদের সর্বশক্তি ব্যয় করুন, এমনকি আপনার সর্বশক্তি যদি অর্ধেক বাক্য পরিমাণও হয়, সময় থাকতে আইএসআইএস এবং অন্যান্য বিদ্রোহী সংগঠন এবং গোত্রগুলোর মুসলিমদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রয়োজনে আপনাদের তাই করা উচিত... যাতে মুসলিমগণ পরস্পরের সাথে যুদ্ধ বন্ধ করে একতাবদ্ধ হয়ে একসারিতে মার্কিনীদের পরিকল্পনা এবং তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে রুঁখে দাড়ায় এবং মুসলিমদের এই একতা হবে এসব জোটের ষড়যন্ত্রের উপর এক শক্তিশালী কষাঘাতের মতো, শত্রু ভয়ংকর হওয়ার পূর্বে একে দমন করা উচিত... আল্লাহর ইচ্ছায় এই আহ্বান সত্যনিষ্ঠ এবং আন্তরিক, যারা চিন্তাশীল এবং মনোযোগ সহকারে শুনে, তাদের প্রতি আমরা এই আহ্বান রাখছি যাতে তারা ইসলাম এবং মুসলিমদের বিজয় অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে এবং সাম্রাজ্যবাদী কাফেরদের কুটকৌশলকে প্রতিরোধ করতে পারে... আর যারা শুনতে এবং দেখতে পায় না, তাদের ব্যাপারে সর্বশক্তিমান, সর্বমহিমান্বিত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে জানিয়েছেনঃ

নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মুর্খ বধির, যারা উপলব্ধি (চিন্তা) করে না [সূরা আল-আনফালঃ ২২]


হিযবুত তাহরী
২৮ শাওয়াল, ১৪৩৫ হিজরী
২৪.০৮.২০১৪ খৃষ্টাব্দ

1 comment:

  1. এই বেকুবদের কেমনে বুঝানো সম্ভব তাই তো বুজতেছিনা !

    ReplyDelete