দাওয়াহ-র জন্য অর্থ ব্যয়
আল্লাহর প্রদত্ত রিজিক থেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ব্যয় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য দায়িত্বঃ
يٰأَيُّهَا
ٱلَّذِينَ
آمَنُوۤاْ
أَنْفِقُواْ مِمَّا رَزَقْنَاكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِىَ يَوْمٌ لاَّ بَيْعٌ
فِيهِ وَلاَ خُلَّةٌ وَلاَ شَفَاعَةٌ
‘হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা থেকে ব্যয় কর, যাতে না আছে বেচা-কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব।’ [সূরা আল-বাকারাহঃ
২৫৪]
দাওয়াহ-র ফরয আদায় করার জন্য সাধ্যমতো সময় ও অর্থ উভয়টিই ব্যয় করতে হবেঃ
إِنَّ
ٱللَّهَ
ٱشْتَرَىٰ
مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ
أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ ٱلّجَنَّةَ
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মু’মিনদের জীবন ও সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন।’ [সূরা আত-তাওবাহঃ
১১১]
অধিকাংশ মুফাসসিরের ভাষ্যমতে, এ আয়াত নাযিল হয়েছে বাই’আতে আকাবায় অংশগ্রহণকারী লোকদের ব্যাপারে। [মা’রেফুল কুর’আন]
বাই’আতে আকাবায় অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণ মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাসূল (সাঃ)-কে আনুগত্যের শপথ দিয়েছিলেন। আজকের দিনেও তাঁদের মতো করে আমাদেরকে নিজেদের জীবন ও সম্পদ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যয় করতে হবে এবং এর বিনিময় অবশ্যই জান্নাত।
তরুণ বয়সে দাওয়াহ করার প্রয়োজনীয়তা
রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ
لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ
الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ وَعَنْ
شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ
‘কিয়ামতের দিন আদম সন্তানের পা দু’টো তার রবের কাছ থেকে একটুও নড়তে পারবে না, যে পর্যন্ত না তাকে পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হবেঃ
১. তার আয়ুষ্কাল সম্পর্কে - সে কী কাজে তা ক্ষয় করেছে?
২. তার যৌবনকাল সম্পর্কে - সে কীভাবে তা কাটিয়েছে?
৩. তার ধনসম্পদ সম্পর্কে - সে কোথা থেকে তা অর্জন করেছে?
৪. আর কোথায় তা ব্যয় করেছে?
৫. এবং যে বিদ্যা অর্জন করেছিল তা অনুযায়ী কী আমল করেছে?’ [তিরমিযী]
অর্থাৎ, আল্লাহ যৌবনকাল নিয়ে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তিরমিযীর আরেক বর্ণনায়, বার্ধক্যের পূর্বে যৌবনকে যথাযথ মূল্য দিতে বলা হয়েছে। বুখারী-মুসলিমের বর্ণনা থেকে জানা যায়, (شَابٌّ
نَشَأَ فِي عِبَادَةِ اللَّهِ) তরুণ বয়সে আল্লাহর দাসত্বকারী ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আল্লাহর ছায়াতলে আশ্রয় পাবে। সুতরাং,
এই তরুণ বয়স থেকেই দাওয়াহ
শুরু করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা আবশ্যক।
No comments:
Post a Comment