بسم الله الرحمن الرحيم
ওবামার সাম্রাজ্যবাদী জোটে অংশগ্রহণ
একটি মারাত্মক অপরাধ এবং ধ্বংসাত্মক প্রতারণা
سَيُصِيبُ
الَّذِينَ أَجْرَمُوا صَغَارٌ عِندَ اللَّهِ وَعَذَابٌ شَدِيدٌ بِمَا كَانُوا
يَمْكُرُونَ ﴿١٢٤﴾
“যারা অপরাধ করছে, তারা অতিসত্বর আল্লাহর
কাছে পৌঁছে লাঞ্ছনা ও কঠোর শাস্তি পাবে, তাদের চক্রান্তের কারণে।” [সূরা আল-আনআমঃ ১২৪]
(অনুবাদকৃত)
১০ই
সেপ্টেম্বর, বুধবার, ওবামা তথাকথিত সন্ত্রাসবাদ এবং আইএসআইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার
নামে একটি খুনী সাম্রাজ্যবাদী জোট গঠন এবং নেতৃত্ব দানের পরিকল্পনা ঘোষণা দেয়। ইতিপূর্বে
কেরি বলেছিল, ৪০টি
দেশ এই জোটে অংশগ্রহণ করবে এবং এই রণকৌশলের ব্যাপ্তি মাস ছাড়িয়ে কয়েক বছর পর্যন্ত গড়াতে
পারে এবং আমেরিকা ইরাকী সেনাবাহিনী, পেশমার্গা এবং উদারপন্থীদেরকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র
প্রদান করবে! ওবামার ঘোষিত জোট বাস্তবায়নের অনুসরণে আজ বৃহস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর,
২০১৪ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জন কেরির নেতৃত্বে জেদ্দায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যাতে সৌদি আরব, জর্দান, মিশর, লেবানন,
তুরস্ক, ইরাক এবং ছয়টি উপসাগরীয় মুসলিম দেশসমূহ অংশ নেয়। আর ইরান অনুপস্থিত থাকলেও ইরাক, সিরিয়া
এবং এমনকি লেবাননে তার দুঃখজনক ভূমিকার জন্য তার বর্তমান অনুপস্থিতি থাকার কারণটি কষ্টিপাথরে
যাচাইয়ের অপেক্ষা রাখে। কারণ তার প্রকাশ্যে এই জোটে আসার প্রয়োজন নাই, আফগানিস্তান
এবং ইরাক দখলদারিত্বের সময় থেকেই সে কখনও পর্দার আড়ালে থেকে কিংবা কখনওবা প্রকাশ্যে
মার্কিনীদের সহায়তা করে আসছে। উপরন্তু, আইএসআইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রসঙ্গে খামেনীর
গতকালের বক্তব্য থেকে আমেরিকার সাথে সমন্বয় সাধনের বিষয়টির অনুমোদন পাওয়া যায়।
যা ৫ই সেপ্টেম্বর কিছু
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং, কেরি মুসলিম অঞ্চলসমূহে ওবামার জোটের উপকরণসমূহকে
নেতৃত্ব দিচ্ছে। নির্লজ্জ-ধিকৃত অক্ষম শাসকগোষ্ঠী (রুয়াইবিদাহ) প্রকাশ্যে, এমনকি আমেরিকার
উপর জোরজবরদস্তি করছে যাতে এই জোট প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা যাতে এর ব্যবহৃত উপকরণ হতে
পারে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সত্যই বলেছেনঃ «إِذَا
لَمْ تَسْتَحْيِ فَاصْنَعْ مَا شِئْتَ»
“যখন তোমাদের কোন
লজ্জা থাকেনা, তখন তোমরা খেয়ালখুশির বশবর্তী হয়ে যা খুশি তাই কর।” [আবু মাসউদ হতে বুখারী বর্ণনা করেছেন]
হে
মুসলিমগণ! জোট গঠনের ব্যাপারে আমেরিকা প্রদত্ত অযুহাত ভিত্তিহীন।
কারণ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ ঘোষণাকারীকে আগে প্রমাণ করতে হবে যে, তার হস্তদ্বয় এই অভিযোগের ঊর্ধ্বে
এবং সে কোনভাবেই সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠার মূলে, চোখের সামনে এর লালনকারী-পালনকারী নয়!
সুতরাং প্রশ্ন হচ্ছে আফগানিস্তান, ইরাক, বাগরাম, আবু গারিব এবং গুয়ান্তানামোতে সংঘটিত
নৃশংস হত্যাকান্ড এবং জঘন্য অত্যাচারের জন্য দায়ী কে? সে কি আমেরিকা নয়? তাছাড়া বার্মা
এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকায় যেভাবে মুসলিমদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা থেকে বনের
পশুরাও নিজেদের দূরে রাখে, আমেরিকা যা প্রত্যক্ষ করেছে, শুনেছে এবং এমনকি সমর্থনও দিয়েছে,
তা কি সন্ত্রাসবাদ নয়? বরং মুসলিমদের বিরুদ্ধে বার্মার শাসকগোষ্ঠীর আক্রমনের মাত্রা
বৃদ্ধির সাথে বার্মা এবং আমেরিকার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগীতাও বৃদ্ধি পেয়েছ।
তবে কেন সে এখন উল্টো
পথে হাটছে? আশ-শামের যালিম কর্তৃক সংঘটিত নৃশংস হত্যাকান্ডের পেছনে মদদদাতা কে? আমেরিকাই
কি প্রকাশ্যে-গোপনে এই অপরাধের মদদদাতা নয়? কে না জানে যে বাশার এবং তার পিতা আমেরিকান
তৈরি পণ্য? এখন আমেরিকার কাছে বাশারের প্রয়োজন প্রায় ফুরিয়ে যাওয়ায়, যতক্ষন পর্যন্ত
অপেক্ষাকৃত কম কলংকিত চেহারার কোন দালালের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়, ততক্ষন পর্যন্ত আমেরিকা
তাকে এমন অপরাধসমূহ সংঘটন করে টিকে থাকার সুযোগ করে দিচ্ছে, যে অপরাধের সীমা এখন মানুষকে
ছাড়িয়ে গাছপালা-পাথরকেও আবৃত করেছে। এরপরও কি অন্তর্দৃষ্টি এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কোন
বিবেকবান ব্যক্তির নিকট একটি সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন
৪০টি দেশ নিয়ে জোট গঠনের কোন বিন্দুমাত্র বৈধতা আছে, যদি না এসব কিছু তাদের সম্মুখে
না হয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে সংঘটিত হত? বিষয়টি এখন আর কোনভাবেই গোপন নয় বরং তা দিবালোকের
মত স্পষ্ট!
হে মুসলিমগণ! ওবামার খুনী সাম্রাজ্যবাদী জোট গঠনের অর্থ হচ্ছে এই অঞ্চলে আরও বৃহত্তর পরিসরে মার্কিন আধিপত্যের
অনুপ্রবেশ ঘটা, যার দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে ঐ সকল যালিম শাসকদের দ্বারা, যাদের মধ্যে
আল্লাহ, তাঁর রাসূল (সাঃ) এবং মু’মিনদের সামনে দাঁড়ানোর লজ্জাবোধ নেই।
এতদিন পর্যন্ত আমেরিকাকে
দালাল শাসকদের সহায়তায় ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করতে হত, কিন্তু এখন এই নির্লজ্জ শাসকেরা
নিজ হাতে আমেরিকার জন্য দরজাই খুলে দিচ্ছে! ওবামার এই জোট সন্ত্রাসবাদ প্রতিহতের জন্য
নয়, বরং দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ অঞ্চলে আধিপত্য বজায় রাখাঃ
এই অঞ্চলের কালো সোনা
লুট করা এবং মার্কিন মজুদ বৃদ্ধি করা। আর দ্বিতীয়ত মুসলিম দেশসমূহ এবং আসন্ন নবুয়্যতের আদলে
খিলাফতের প্রত্যাবর্তনে হস্তক্ষেপ করা; আমেরিকা এবং তার দালালদের ধারনা তারা তাদের
কুটকৌশল এবং ধূর্ততার মাধ্যমে তা করতে সক্ষম হবে- ﴿وَمَكْرُ أُولَئِكَ هُوَ يَبُورُ﴾ “এবং তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হবে।”
[সূরা ফাতিরঃ ১০];
এই দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমেরিকা এগুচ্ছে, যা সে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের
ছদ্মাবরণে লুকাতে চাচ্ছে, যদিও সে এ বিষয়ে এখনও এতটা পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেনি!
হে মুসলিমগণ! মুসলিম দেশগুলোতে বিদ্যমান রাজনৈতিক শূন্যতার কারণে এই দেশগুলো এখন কোনরকম
যুদ্ধ বা পরাজয়ের ভয় ছাড়াই কাফের সাম্রাজ্যবাদীদের বিভিন্ন সেনাবাহিনী, জোট, ছলচাতুরী
এবং ষড়যন্ত্র দ্বারা আক্রান্ত হয়। ফলে, কাফের সাম্রাজ্যবাদীদের অধিকৃত অঞ্চল রাজনৈতিক
শূন্যতার কারণে আরও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। মুসলিম দেশগুলোতে শাসনব্যবস্থার অনুপস্থিতিই একমাত্র
রাজনৈতিক শূন্যতা নয়, বরং তা আরও গভীরে নিবদ্ধ এবং সবচেয়ে বিপদজনক হচ্ছে উম্মাহ কর্তৃক
তার আকীদাহ হতে উৎসারিত নয় এমন শাসনব্যবস্থা দ্বারা শাসনের ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক শূন্যতা।
যা তার অখন্ড সত্ত্বার মধ্যে চির ধরিয়েছে, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবং এর
ভূ-খন্ডসমূহ হয়ে পড়েছে অস্থিতিশীলতা, দুর্বলতা এবং অপমানজনক পরিণতির এক উর্বর ভূমি।
আর এটা শুধু একটা ছিদ্রই নয়, বরং অনেকগুলো ছিদ্র যার মধ্য দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর
পক্ষে তা দখল করা এবং অতঃপর তাদের দালাল যালিম শাসকদের দ্বারা শাসন করা সম্ভব হচ্ছে।
প্রায় শতাব্দী পূর্বে খিলাফত ধ্বংসের পর থেকে এই ভূমিসমুহে এবং এর জনগণের মাঝে রাজনৈতিক
শূন্যতার সৃষ্টি হয়। তখন থেকে সাম্রাজ্যবাদী কুফর অপশক্তিসমূহ এবং তাদের সংস্কৃতির
দ্বারা মোহান্বিত ব্যক্তিবর্গ, অস্ত্র এবং চক্রান্তের মাধ্যমে মুসলিমদের কর্তৃক ইসলামী
শাসনব্যবস্থা পুণঃপ্রতিষ্ঠার পথে তীব্র প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এরপর তারা এমন শাসকদের
নিযুক্ত করে যারা কখনও ধর্মনিরপেক্ষ, কখনও পুঁজিবাদী, সমাজতান্ত্রিক, একনায়কতান্ত্রিক
কিংবা গণতান্ত্রিক রঙে রঞ্জিত ছিল, কখনওবা ছিল এই সবকিছুর সংমিশ্রণে যার কোন রঙ নেই! যাতে
সে মুসলিম দেশগুলোতে অন্যায়, অবিচার এবং জুলুম ছড়িয়ে দিতে পারে এবং যাতে সবচেয়ে নিম্নমানের নিকৃষ্ট
শাসকও উম্মাহর বিরুদ্ধে হিংস্র সিংহে এবং আমেরিকা-পশ্চিমা কুফর শক্তির সামনে উটপাখিতে
পরিণত হয় এবং এই অবস্থা ততদিন চলতে থাকে যতদিন না এই শাসকেরা আমেরিকার কাছে করজোড়ে
এই প্রার্থনা করে যে, আমেরিকা যাতে একটি জোট গঠন করে তার দেশকে ধ্বংস করে এবং সে এটা
ভেবে পরিতৃপ্ত হয়, এটা একটি মহা সাফল্য! ﴿قَاتَلَهُمُ اللَّهُ أَنَّى يُؤْفَكُونَ﴾ “ধ্বংস করুন আল্লাহ তাদেরকে; তারা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছে?”
[সূরা আল-মুনাফিকুনঃ ৪]
প্রিয় মুসলিমগণ! বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক, এটা মামুলি বিষয় নয়, বরং আল্লাহ,
তাঁর রাসূল (সাঃ) এবং মু’মিনদের নিকট অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। হিযবুত তাহরীর, এমন এক পথপ্রদর্শক
যে তার জনগণের সাথে মিথ্যা বলে না। হিযব আপনাদেরকে সতর্ক করছে এবং দিকনির্দেশনা দিচ্ছে
যেঃ
এই
জোট গঠন এবং মুসলিম দেশসমূহে এর উপস্থিতি বজায় রাখা একটি গুরুতর বিষয় এবং ধ্বংসাত্মক
চক্রান্ত। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি একটি বড় ধরনের অপরাধ, কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ «لا تَسْتَضِيئُوا بِنَارِ الْمُشْرِكِينَ» “তোমরা মুশরিকদের আগুন থেকে আলো
নিও না”, আনাস বিন মালিক হতে বায়হাকীর আস সুনান আল কুবরাতে বর্ণিত।
যুদ্ধরত কোন জনগোষ্ঠীর
অস্তিত্ব বুঝাতে আগুন রূপকার্থে ব্যবহৃত হয়েছে এবং তিনি (সাঃ) আরও বলেনঃ «فَلَنْ أَسْتَعِينَ بِمُشْرِكٍ» “আমি
কোন মুশরিক হতে সাহায্য অন্বেষণ করবো না”, আয়েশা (রা.) হতে ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেন।
তাছাড়া আয়েশা (রা.) হতে
আবু দাউদ এবং ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেনঃ «إِنَّا لا نَسْتَعِينُ بِمُشْرِكٍ» “আমরা কোন মুশরিক হতে সাহায্য অন্বেষণ করি না।”
মুসলিমদের
উপর রুয়াইবিদাহ শাসকদের অব্যাহত অত্যাচার, নিপীড়ন এবং কাফিরদের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা
ও বশ্যতা হচ্ছে ফিতনাহ। ভয়াবহ দুর্যোগ এবং বিপর্যয় শুধুমাত্র অন্ধকারাচ্ছন্ন
শাসকদের উপরই আপতিত হবেনা বরং তাদের উপরও আপতিত হবে যারা তাদের এই অন্যায়ের ব্যাপারে
নিশ্চুপ থাকে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেনঃ ﴿وَاتَّقُوا فِتْنَةً لَا تُصِيبَنَّ
الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْكُمْ خَاصَّةً﴾ “আর তোমরা এমন ফিতনাহকে ভয় কর যা বিশেষতঃ শুধু তাদের উপর পতিত হবে না, যারা তোমাদের মধ্যে অত্যাচারী (বরং এটা সবাইকেই আচ্ছন্ন করবে)।” [সূরা আল-আনফালঃ ২৫];
তাছাড়া রাসূল (সাঃ) বলেনঃ «إِنَّ النَّاسَ إِذَا
عُمِلَ فِيهِمْ بِالْمَعَاصِي فَلَمْ يُغَيِّرُوا أَوْشَكَ اللَّهُ أَنْ
يَعُمَّهُمْ بِعِقَابٍ» “কোন জনপদের মাঝে কোন অন্যায় সংঘটিত
হওয়ার পরও যদি তারা তা প্রতিরোধ না করে, তাহলে আল্লাহ অবশ্যই সবার উপর শাস্তি প্রদান
করেন।” (আবু বকর (রা.) হতে বর্ণিত, উসমান আবু আমর আদ-দানির আল-ফিতানে সংগৃহীত)
ওবামার
প্রস্তাবিত জোট, যা
সে মুসলিম দেশসমূহের মধ্যে সম্প্রসারণ করতে চায় তার রশি কেটে দেয়া আমাদের জন্য ফরয।
আর এর পেছনে সহায়কের
ভূমিকা পালন করছে সেইসব শাসকগোষ্ঠী যারা তাদের নিজেদের দুনিয়াবী প্রাপ্তির জন্য নয়
বরং অন্যের দুনিয়া সাজাতে তাদের মহান দ্বীনকে বিক্রি করে দিয়েছে! এই ধ্বংসাত্মক জোটের
রশি মজবুত হওয়া এবং তা সমতল ভূমি-পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃতি হতে দেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা
করার চেয়ে শুরুতেই তা কেটে দেয়া সহজ...
মুসলিম সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের আহ্বান! আপনাদের মধ্যে কি এমন একজন চিন্তাশীল ব্যক্তি নাই যিনি আল্লাহ, তাঁর রাসূল
(সাঃ) এবং বিশ্বাসীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারী এসব শাসকদেরকে প্রত্যাখ্যান করবেন...?
...? আপনাদের মধ্যে কি এমন একজন চিন্তাশীল ব্যক্তি নাই যিনি মহান দ্বীন এবং তার সম্মান
রক্ষায় এসব জোটের রশি এবং অবলম্বনগুলোকে কেটে দিয়ে আল্লাহর শত্রুদের মুখোমুখি দাঁড়াবেন...?
আপনাদের মধ্যে কি এমন একজন চিন্তাশীল ব্যক্তি নাই যিনি এসব রুয়াইবিদাহ শাসকদেরকে অপসারণ
করবেন এবং আনসারদের (রা.) মহান ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করবেন এবং ইসলামী শাসন তথা নবুওয়্যতের আদলে
খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে বিজয়ী করবেন...?
হিযবুত
তাহরীর আপনাদের দৃঢ়সংকল্পকে জাগিয়ে তুলে এবং আপনাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞাকে স্মরণ করিয়ে
দিয়ে আহ্বান করছে, আপনারা এমন অবস্থান গ্রহণ করুন যে অবস্থানের জন্য আল্লাহ এবং তাঁর
রাসূল (সাঃ) আপনাদেরকে ভালবাসবেন এবং আপনাদের দেশ ও জনগণ তাদের শত্রু কর্তৃক চারিদিকে
পরিবেষ্টিত হওয়ার পূর্বে এই জোটকে সমূলে নিপাত করুন, নতুবা তখন আফসোস করবেন কিন্তু
তা কোন কাজে আসবে না...
هَـٰذَا بَلَاغٌ لِّلنَّاسِ
وَلِيُنذَرُوا بِهِ وَلِيَعْلَمُوا أَنَّمَا هُوَ إِلَـٰهٌ وَاحِدٌ وَلِيَذَّكَّرَ
أُولُو الْأَلْبَابِ ﴿٥٢﴾
“এটা মানুষের জন্য এমন একটি বার্তা
যাতে তারা এর দ্বারা সতর্ক হতে পারে এবং জেনে নিতে পারে যে তিনি একক উপাস্য আল্লাহ
এবং যাতে বুদ্ধিমানরা চিন্তা-ভাবনা করে।” [সূরা ইবরাহিমঃ ৫২]
হে
আল্লাহ! আমরা বার্তা পৌঁছে দিয়েছি... হে আল্লাহ! আপনি এ ব্যাপারে আমাদের স্বাক্ষী থাকুন।
হিযবুত তাহরীর
১৬ই
জিলক্বদ, ১৪৩৫ হিজরী
১১.০৯.২০১৪
খৃষ্টাব্দ
No comments:
Post a Comment