10.9.14

এটাই আমার পথঃ অধ্যায় ৮ ~ পরবর্তী খিলাফত প্রতিষ্ঠা

অধ্যায় ~ পরবর্তী খিলাফত প্রতিষ্ঠা

রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ

‏تَكُونُ النُّبُوَّةَ فِيكُمْ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ أَنْ يَرْفَعَهَا، ثُمَّ تَكُونُ خِلَافَةً عَلَى مِنْهَاجِ النُّبُوَّةِ، فَتَكُونُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَرْفَعَهَا، ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا ‏عَاضًّا،‏ ‏فَيَكُونُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَكُونَ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ أَنْ يَرْفَعَهَا، ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا ‏جَبْرِيَّةً،‏ ‏فَتَكُونُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَكُونَ، ثُمَّ يَرْفَعُهَا إِذَا شَاءَ أَنْ يَرْفَعَهَا، ثُمَّ تَكُونُ خِلَافَةً عَلَى مِنْهَاجِ النُّبُوَّةِ،  ثُمَّ سَكَتَ

তোমাদের মধ্যে নবুয়্যত থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা করেন, অতঃপর তিনি তা তুলে নিবেন যখন তা তুলে নেবার ইচ্ছা করবেন তারপর আসবে নবুয়্যতের আদলের খিলাফত তা তোমাদের মধ্যে থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, অতঃপর আল্লাহ তা তুলে নিবেন যখন তা তুলে নেবার ইচ্ছা করবেন তারপর আসবে কামড়ে ধরে থাকা শাসন, তা থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা করবেন অতঃপর তিনি তা তুলে নিবেন যখন তা তুলে নেবার ইচ্ছা করবেন তারপর আসবে জুলুমের শাসন এবং তা তোমাদের ওপর থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা করবেন অতঃপর তিনি তা তুলে নিবেন যখন তা তুলে নেবার ইচ্ছা করবেন তারপর ফিরে আসবে নবুয়্যতের আদলের খিলাফতএরপর তিনি (সাঃ) নীরব থাকলেন  [আহমদ]

এই হাদীসে বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে, ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় মুসলিম উম্মাহ বর্তমানে জুলুমের যুগে অবস্থান করছে ১৯২৪ সালে তুরস্কে আল্লাহর আইনের শাসন ব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে সারা বিশ্বে এখন চলছে জুলুমের শাসনঃ

وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَآ أنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَـٰئِكَ هُمُ ٱلظَّالِمُونَ

আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না, তারাই তো জালিম [সূরা আল মায়িদাহঃ ৪৫]

এই জুলুমের শাসনের পর আবার প্রতিষ্ঠিত হবে খিলাফাহ আলা মিনহাজিন নবুয়্যাহ (নবুয়্যতের আদলের খিলাফত) সেই খিলাফত পৃথিবীর সকল প্রান্তে ইসলামের শাসন কর্তৃত্ব বিস্তৃত করবে কিয়ামতের পূর্বে ইমাম মাহদীর শাসনকাল পর্যন্ত সেই খিলাফত টিকে থাকবে

মিদা ইবন আসওয়াদ (রাঃ) বলেনঃ তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এই বলতে শুনেছেনঃ

لَا يَبْقَى عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ بَيْتُ مَدَرٍ وَلَا وَبَرٍ إِلَّا أَدْخَلَهُ اللَّهُ كَلِمَةَ الْإِسْلَامِ بِعِزِّ عَزِيزٍ أَوْ ذُلِّ ذَلِيلٍ إِمَّا يُعِزُّهُمْ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَيَجْعَلُهُمْ مِنْ أَهْلِهَا أَوْ يُذِلُّهُمْ فَيَدِينُونَ لَهَا

জমিনের উপর কোনো মাটির ঘর অথবা পশমের ঘর (তাঁবু) বাকি থাকবে না, যাতে আল্লাহ তাআলা ইসলামের বাণী পৌঁছিয়ে দিবেন না - সম্মানীর ঘরে সম্মানের সঙ্গে এবং অপমানিতের ঘরে অপমানের সঙ্গে (অর্থাৎ) আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল যাদেরকে সম্মানিত করবেন, তাদেরকে এর মধ্যে অন্তভূক্ত করবেন (স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণের উপযুক্ত করে দিবেন), পক্ষান্তরে যাদেরকে অপমানিত করবেন, তারা (কর দানে ইসলামী কর্তৃত্বের) বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হবে [আহমদ, হাকিম, তাবারানী, বায়হাকী]

তামিম আল দারি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ

لَيَبْلُغَنَّ هَذَا الْأَمْرُ مَا بَلَغَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَلَا يَتْرُكُ اللَّهُ بَيْتَ مَدَرٍ وَلَا وَبَرٍ إِلَّا أَدْخَلَهُ اللَّهُ هَذَا الدِّينَ بِعِزِّ عَزِيزٍ أَوْ بِذُلِّ ذَلِيلٍ عِزًّا يُعِزُّ اللَّهُ بِهِ الْإِسْلَامَ وَذُلًّا يُذِلُّ اللَّهُ بِهِ الْكُفْرَ

নিশ্চয়ই এই বিষয় [ইসলাম] সেখান পর্যন্ত পৌঁছাবে, যেখান পর্যন্ত পৌঁছায় দিন রাত এবং কোনো মাটির ঘর অথবা পশমের ঘর (তাঁবু) বাকি থাকবে না, যাতে আল্লাহ তাআলা ইসলামের বাণী পৌঁছিয়ে দিবেন না - সম্মানীর ঘরে সম্মানের সঙ্গে এবং অপমানিতের ঘরে অপমানের সঙ্গে (অর্থাৎ) আল্লাহ যাদেরকে সম্মানিত করবেন, তাদেরকে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণের উপযুক্ত করে দিবেন, পক্ষান্তরে যাদেরকে অপমানিত করবেন, তাদেরকে অপমানিত করবেন কুফর দ্বারা [আহমদ, তাবারানী, হাকিম]

আবু সালাবাহ আল-খাশনি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাঃ)-কে বলেছেনঃ

إِنَّ الله عَزَّ وَجَلَّ بَعَثَ أَبَاكِ بِأَمْرٍ لَمْ يَبْقَ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ مِنْ بَيْتِ مَدَرٍ ، وَلا شَعَر ، إلا أَدْخَلَ الله بِهِ عِزّا أَوْ ذُلا حَتَّى يَبْلُغَ حَيْثُ بَلَغَ اللَّيْل

আল্লাহ আজজা ওয়া জাল তোমার পিতাকে যে বিষয়সহ পাঠিয়েছেন, সেটা প্রবেশ করবে না এমন কোনো মাটির ঘর অথবা পশমের ঘর (তাঁবু) বাকি থাকবে না - সম্মানীর ঘরে প্রবেশ করবে সম্মানের সঙ্গে এবং অপমানিতের ঘরে অপমানের সঙ্গে - যতক্ষণ এটা সেখান পর্যন্ত পৌঁছায়, যেখান পর্যন্ত পৌঁছায় রাত [হাকিম, তাবারানী]

ইমাম নববী তার শরহে মুসলিম গ্রন্থে (অধ্যায় ১৮, পৃষ্ঠা ১৩), আবু দাউদ তার সুনানে (হাদীস ৪২৫২), তিরমিযী (অধ্যায় , পৃষ্ঠা ২৭), ইবনে মাজাহ (২৯৫২), আহমদ তার মুসনাদে (অধ্যায় ; পৃষ্ঠা ২৭৬, ২৮৪) এবং আল হাকিম তার আল মুসতাদরাকে (/৪৭৯) গ্রন্থে সাওবান হতে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ

إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِي الْأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَإِنَّ أُمَّتِي سَيَبْلُغُ مُلْكهَا مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا

নিশ্চয়ই আল্লাহ পৃথিবী (এর সব প্রান্তকে) এক করে আমাকে দেখিয়েছেন আমি তার পূর্ব অংশ পশ্চিম অংশ দেখেছি এবং নিশ্চয়ই আমার উম্মতের কর্তৃত্ব তাতে পৌঁছুবে, যা আমার জন্য এক করা হয়েছিল তা হতে

এসব হাদীসে পৃথিবীর সকল প্রান্তে ইসলামী রাষ্ট্রের শাসন কর্তৃত্ব পৌঁছে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে ইনশা’আল্লাহ পরবতী খিলাফত পৃথিবীর সকল প্রান্তে ইসলামের শাসন কর্তৃত্ব বিস্তৃত করবে

ইবনে হিব্বানের সহীহ রেওয়ায়েতে রয়েছে, শেষ জামানায় আল-শাম [বর্তমান জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন ইরাকের কিছু অংশ] হবে মুমিনদেরউকর’ [স্থান] মুসনাদে আহমদ তাবারানীতেও অনুরূপ রেওয়ায়াত রয়েছে মুমিনদের প্রথম উকর ছিল মদীনায় - যেখানে প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল

আল হাকিম তার আল-মুসতাদরাক /৪৬৮, আহমদ তার মুসনাদ /৮৪ এবং আবু দাউদ তার সুনান (নং ২৪৮২) গ্রন্থে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) বলেনঃ দুটি হিজরতের (দেশত্যাগ) ঘটনা ঘটবে এবং তার শেষটি হবে সেখানে, যেখানে তোমাদের পিতা ইবরাহীম (.) হিজরত করেছিলেন [আল-শামে]

প্রথম হিজরতটি ছিল মদীনায় রাসূল (সাঃ) এর হিজরত - ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে, যেখানে প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ইনশা’আল্লাহ দ্বিতীয় হিজরতটি হবে শাম অঞ্চলের দিকে অর্থাৎ পরবর্তী খিলাফতের উকরের দিকে

ইবনে আসাকির-এরদামেস্কের ইতিহাসগ্রন্থে ইউনুস ইবনে মায়সারা ইবনে হালবাস হতে বর্ণিতঃ

هذا الأَمْرُ كائن بَعْدِي بِالْمَدِيْنَة ثُمَّ بِالشام ثُمَّ بِالْجَزِيْرَة ثُمَّ بِالْعِراق ثُمَّ بِالْمَدِيْنَة ثُمَّ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ فَإِذَا كَانَ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ فثم عقر دارها وَلَن يخرجها قَوْم فتعود إِلَيْهِمْ أَبَدا

রাসূল (সাঃ) বলেনঃ এই শাসন ব্যবস্থা (খিলাফত) আমার পর থাকবে মদীনায়, তারপর আল-শামে, তারপর আরব উপদ্বীপে, তারপর ইরাকে, তারপর (হীরাকলের) শহরে, তারপর বায়তুল মাকদিসে (আল-কুদ) এবং যখন আল-কুদসে প্রতিষ্ঠিত হবে তখন সেটাই হবে তার স্থান এরপর লোকেরা (কেউ) তা কখনো বের (পরিবর্তন) করে দিতে পারবে না এবং তা চিরকালের জন্য তাদের কাছে ফিরে আসবে

পূর্ববর্তী খলীফাদের সময়ে এই উম্মাহ খিলাফতের রাজধানী দেখেছে মদীনায়, আল-শামে, ইরাকে (হীরাকলের) শহরে অর্থাৎ ইস্তাম্বুলে ইনশা’আল্লাহ আবার যখন খিলাফত ফিরে আসবে তখন তার রাজধানী হবে আল-কুদ (জেরুজালেম)

ইবনে সাদ কানজুল উম্মাল ১৪/২৫২ এর গ্রন্থকার উভয়ে আবু উমায়রা আল মাযানী হতে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ

تَكُوْنُ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ بَيْعَة هدى

বায়তুল মাকদিসে একটি হেদায়েতপূর্ণ আনুগত্যের শপথ নেয়া হবে

ইমাম আহমদ তার মুসনাদ (/২৮৮), আবু দাউদ তার সুনান (নং ২৫৩৫) এবং হাকিম তার আল-মুসতাদরাক গ্রন্থে বর্ণিত হাদীসে বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ

يَا ابْنَ حَوَالَةَ، إِذَا رَأَيْتَ الْخِلَافَةَ قَدْ نَزَلَتْ أَرْضَ الْمُقَدَّسَةِ فَقَدْ دَنَتْ الزَّلَازِلُ وَالْبَلَابِلُ وَالْأُمُورُ الْعِظَامُ وَالسَّاعَةُ يَوْمَئِذٍ أَقْرَبُ مِنْ النَّاسِ مِنْ يَدِي هَذِهِ مِنْ رَأْسِكَ

হে ইবন হাওয়ালা, যখন তুমি দেখবে খিলাফত পবিত্র ভূমিতে (আল-কুদস) ফেরত এসেছে, তখন ভূমিকম্প, দুর্যোগ এরূপ বিশাল ঘটনা অনিবার্য হয়ে পড়বে আর তখন কিয়ামত মানুষের ততটুকু কাছে চলে আসবে, আমার এই হাত থেকে তোমার মাথার দুরত্ব যতটুকু [রাসূল (সাঃ) এই হাদীসটির বর্ণনাকারী সাহাবী আবদুল্লাহ বিন হাওয়ালার মাথা/কপালে হাত রেখে হাদীসটি বর্ণনা করেছিলেন]

ইমাম নববী তার শরহে মুসলিম গ্রন্থে (১৮/৩৮-৩৯) ইমাম আহমদ তার মুসনাদে (/৩১৭) জাবির হতে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ

يَكُونُ فِي آخِرِ أُمَّتِي خَلِيفَةٌ يَحْثِي الْمَالَ حَثْيًا لَا يَعُدُّهُ عَدَدًا

আমার উম্মতের শেষের দিকে একজন খলীফা আসবে, যে সম্পদ বিতরণ করবে কোনো গণণা ছাড়াই আরেকটি বর্ণনায় রাসূল (সাঃ) বলেনঃ শেষ যমানায় একজন খলীফা আসবে, যে কোনো গণণা ছাড়াই সম্পদ বিতরণ করবে [মুসলিম]

ইমাম আহমদ তার মুসনাদে (/১৭৬), আল দারিমি তার মুসনাদে (অধ্যায় , পৃষ্ঠা ১২৬) আল হাকিম তার আল মুসতাদরাক (/৪২২) আবু কাবিল হতে বর্ণনা করেনঃ

... سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْمَدِينَتَيْنِ تُفْتَحُ أَوَّلًا قُسْطَنْطِينِيَّةُ أَوْ رُومِيَّةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَدِينَةُ هِرَقْلَ تُفْتَحُ أَوَّلًا يَعْنِي قُسْطَنْطِينِيَّةَ

... রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলঃ “‘কোন শহরটি আগে জয় করা হবে, কনস্ট্যানটিনোপোল নাকি রোম? রাসূল (সাঃ) বললেনঃহীরাকলের নগরী প্রথম জয় করা হবে অর্থাৎ কনস্ট্যানটিনোপোল।’”

হাদীসে উল্লেখিত প্রথম বিজয়টি ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে কনস্ট্যানটিনোপোল ইসলামের অধীনে এসেছে উসমানীয় সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতেহ এর আমলে ১৪৫৩ সালে রাসূল (সাঃ) এর ভবিষ্যৎবাণীর ৮০০ বছর পর বিজয় অর্জিত হয় আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তী খিলাফত রোম বিজয় করবে - সেটাও বেশি দূরে নয়

সার্বিক আলোচনায় স্পষ্ট যে, খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি মুতাওয়াতির বিল মানা [বহু সংখ্যক শুদ্ধ বর্ণনা] হাদীস দ্বারা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত এক হিসেবে দেখা যায়, খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত হাদীস সমূহ অন্তত ২৫ জন সাহাবী, ৩৯ জন তাবেয়ী ৬২ জন তাবে-তাবেয়ী দ্বারা বর্ণিত হয়েছে তাই খিলাফতের পুনরাগমন শারী’আহ- অকাট্য দলিল দিয়ে প্রমাণিত বিষয়

সূরা নূরের ৫৫ নং আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মুমিনদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেনঃ

وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ آمَنُواْ مِنْكُمْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِى ٱلأَرْضِ كَمَا ٱسْتَخْلَفَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ ...

তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে সৎ কাজ করে আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, তিনি তাদেরকে পৃথিবীতে খিলাফত দান করবেন, যেমন তিনি খিলাফত দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে... [সূরা আন-নূরঃ ৫৫]

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে বিজয়ের নিশ্চয়তা দিয়েছেন, রাসূল (সাঃ) খিলাফতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা দ্বীনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এবং শারী’আহ আমাদেরকে খিলাফত প্রতিষ্ঠার পথনির্দেশ করছে

সবশেষে আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে এমন এক অসাধারণ ঈমান দান কর, যার দৃঢ়তা কিয়ামতের দিন নূর ছড়াবে হে রব! তোমার প্রতিশ্রুত তোমার রাসূল (সাঃ) এর ভবিষ্যদ্বাণীকৃত খিলাফতে রাশেদা আমাদেরকে দান কর পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ সবখানে সেই খিলাফতের বিস্তৃতি ঘটানোর তৌফিক আমাদেরকে দাও, হে মালিক! অভিশপ্ত য়াহুদীদের কাছ থেকে পবিত্র ভূমি জেরুজালেম উদ্ধার করার ব্যবস্থা কর, হে আল-হাইয়্যু আল-কাইয়্যুম! হে বিচার-দিবসের অধিপতি! জান্নাতে আমাদেরকে নবী-রাসূল সাহাবীগণের সাহচর্য দিও ইয়া রাব্বাল আলামীন! আল্লাহুম্মা আমীন


আল্লাহর ইচ্ছা সাহায্যে সমাপ্ত

No comments:

Post a Comment