নং:
১৪৩৮-০২/০১ রবিবার, ২০ সফর, ১৪৩৮ হিজরী ২০.
১১. ২০১৬ ইং
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ধর্মনিরপেক্ষ শাসকেরা রোহিঙ্গা
মুসলিমদের দুঃখ-দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেও অন্ধের ন্যায় আচরণ করছে
রাখাইন মুসলিমদের অসহায়
অবস্থা চিরতরে অবসানের একমাত্র উপায় হচ্ছে খিলাফতের সাহসী নেতৃত্ব
গত সপ্তাহান্তে মায়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গা
মুসলিমদের উপর তাদের হামলা তীব্রতর করেছে। মাসাধিক কাল ধরে সামরিক
বাহিনীর সদস্যরা রাজ্যটি অবরোধ করে রেখেছে এবং গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে তারা কমপক্ষে
১৩০ জন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ও আমাদের অগণিত বোনকে ধর্ষণ করেছে। তারা হেলিকপ্টার
হতে কামানের গোলা ও রকেট নিক্ষেপ করে সমগ্র গ্রামকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে এবং
অকল্পনীয় আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ভারী কামানে সজ্জিত সেনাবাহিনীর
ছোট ছোট যুদ্ধজাহাজ হতে পলায়নরত বেসামরিক লোকদের উপর গোলা বর্ষণ করা হয়েছে, কারণ এসব
অসহায় মানুষেরা নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছে এবং তাদেরকে
নিজ গৃহে ফিরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে, যাতে হেলিকপ্টার হতে নিক্ষেপিত গোলায়, কিংবা স্বংয়ক্রিয়
ভারী অস্ত্রের গুলিতে বা রকেট লঞ্চারের আঘাতে হত্যা করতে সক্ষম হয়।
এমনকি তাদের
নিষ্ঠুর অত্যাচারের কবল থেকে ছোট ছোট বাচ্চারাও রেহাই পায়নি, বরং তারা যখন রোহিঙ্গাদের
ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছিল, তখন মায়ের কোল হতে শিশু সন্তানদের
কেড়ে নিয়ে জলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করেছে।
অপরদিকে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে
এবং নির্মম নির্যাতনের হাত থেকে পালিয়ে আসা এসব অসহায় মানুষদের বড় বড় দলগুলোকে জোরপূর্বক
মায়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে দিতে এই ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী সরকারের সীমান্ত পুলিশ বাংলাদেশ-মায়ানমার
সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। ফলশ্রুতিতে নিরুপায় রোহিঙ্গা মুসলিমগণ
খোলা সাগরে আটকা পড়ে মর্মান্তিকভাবে দিনাতিপাত করছে। অসহায় ও আতঙ্কগ্রস্ত
রোহিঙ্গাদেরকে
বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দিয়ে বিশ্বাসঘাতক হাসিনা আবারও প্রমাণ করেছে যে,
ও.আই.সি সম্মেলনে মুসলিম উম্মাহ্’র বৃহত্তর ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব এবং ন্যায়বিচার ও সম্মিলনের
মতো মহান ইসলামী মূল্যবোধসমূহ চর্চার যে আহ্বান সে জানিয়েছিল তা মুসলিমদের সাথে প্রতারণার
উদ্দেশ্যে উচ্চারিত নিকৃষ্ট মিথ্যাচার ব্যতীত আর কিছুই নয়।
হে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর
নিষ্ঠাবান অফিসারগণ! হে মহান আনসার (রাঃ)
ও সালাহ্উদ্দীনের উত্তরসূরীগণ! আমরা আপনাদেরকে আহ্বান জানাই, এসব বিশ্বাসঘাতক
শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, যারা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের নামে তাদের প্রভুদের
নোংরা সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থরক্ষার
কাজে আপনাদেরকে ব্যস্ত রেখেছে এবং আল্লাহর শত্রুদের নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার আপনাদের
মুসলিম ভাই-বোনদের নিরাপত্তা বিধানের উদ্দেশ্যে জিহাদে অবতীর্ণ হওয়া থেকে বিরত রেখেছে।
কাফেরদের
দালাল এসব ধর্মনিরপেক্ষ শাসকদের উৎখাত করে প্রতিশ্রুত দ্বিতীয় খিলাফতে রাশেদাহ্ প্রতিষ্ঠার
উদ্দেশ্যে হিযবুত তাহরীর-কে বস্তুগত সাহায্য (নুসরাহ্) প্রদানের জন্য আমরা
আপনাদেরকে এই মুহুর্তে দ্রুততার সহিত অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানাই।
হে সশস্ত্র বাহিনীর অফিসারগণ! আল্লাহকে (সুবহানাহু ওয়া
তা’আলা) ভয় করুন, রাখাইন মুসলিমদের দুর্দশা ও রক্তের অশ্রুকে ভয় করুন।
আল্লাহর
(সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) সন্তুষ্টি লাভের জন্য এগিয়ে আসুন এবং এসব জাতি-রাষ্ট্রের শাসকদেরকে
মান্য করা বন্ধ করুন, কারণ তারা আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) ক্ষমা হতে
আপনাদেরকে ক্রমশ দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوهُهُمْ فِي
النَّارِ يَقُولُونَ يَا لَيْتَنَا أَطَعْنَا اللَّهَ وَأَطَعْنَا الرَّسُولَا
﴿٦٦﴾ وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا
فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا ﴿٦٧﴾
“যেদিন তাদের চেহারা দোযখের
আগুনের মধ্যে ওলট-পালট করা হবে সেদিন তারা বলবেঃ হায়! আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম এবং রাসূলের আনুগত্য করতাম! তারা আরও বলবেঃ হে আমাদের রব! আমরা তো আনুগত্য করেছিলাম আমাদের নেতাদের এবং
আমাদের প্রধানদের। অতএব তারাই আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল।” [সূরা আল-আহযাবঃ
৬৬-৬৭]
হিযবুত তাহরীর-এর মিডিয়া কার্যালয়,
উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ
Mobile: +8801798367640 Skype: htmedia.bd
Hizbut Tahrir official website: www.hizb-ut-tahrir.org
Hizbut Tahrir Media Website: www.hizb-ut-tahrir.info
Hizbut Tahrir Media Website: www.hizb-ut-tahrir.info
No comments:
Post a Comment