10.7.14

প্রশ্নোত্তরঃ খিলাফত প্রতিষ্ঠার নামে আইএসআইএস (ISIS) প্রকৃতপক্ষে কি ঘোষণা করল

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

প্রসঙ্গঃ খিলাফত প্রতিষ্ঠার নামে আইএসআইএস (ISIS) প্রকৃতপক্ষে কি ঘোষণা করল
(অনুবাদকৃত)

আইএসআইএস (ISIS) কর্তৃক খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণার প্রকৃত বাস্তবতা অনুসন্ধানে প্রশ্নকারী সকল ভাই-বোনদের প্রতিঃ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু

প্রিয় ভাই-বোনেরা

. কোন দলকে একটি স্থানে খিলাফত রাষ্ট্রের ঘোষণা দিতে হলে অবশ্যই সেই স্থানে রাসূল (সাঃ)-এর অনুসৃত পদ্ধতিকে অনুসরণ করতে হবে এবং উক্ত স্থানে তাদের নিশ্চিত দৃশ্যমান শাসন-কর্তৃত্ব বজায় থাকতে হবে, যাতে তারা উক্ত স্থানের আভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেন এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষিত স্থানটিতে অবশ্যই একটি রাষ্ট্র কাঠামো গঠনের অপরিহার্য উপাদানসমুহ বিদ্যমান থাকতে হবে...মদীনা আল-মুনাওয়ারায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাসূল (সাঃ) ঠিক এই কাজটিই করেছিলেন; শাসন-কর্তৃত্ব ছিল রাসূল (সাঃ)-এর হাতে এবং রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক নিরাপত্তা ছিল ইসলামী শাসন-কর্তৃত্বের অধীনে এবং স্থানটিতে (মদীনাতে) একটি প্রকৃত রাষ্ট্র কাঠামো গঠনের সবগুলো উপাদান বিদ্যমান ছিল।

. খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণাকারী এই দলটির [আইএসআইএস (ISIS)] সিরিয়া কিংবা ইরাকে না আছে কোন শাসন-কর্তৃত্ব, না আছে সেখানকার আভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার উপর কোন দখল। তথাপিও তারা এমন একজনকে খলিফার বাইআত (আনুগত্য) দিয়েছে, যে কিনা নিজেকে খলিফা ঘোষণা করবে দূরের কথা প্রকাশ্যেই আসতে পারে না। বরং তার অবস্থান ঠিক আগের মতই অপরিবর্তিত আছে অর্থাৎ রাষ্ট্র ঘোষণার আগের অবস্থার মতই সে আত্মগোপনে আছে! এবং এটা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যা করেছেন তার সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। তিনি (সাঃ)-এর উপর শান্তি এবং রহমত বর্ষিত হোক, তাঁর জন্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বে সাওরপর্বত গুহায় আশ্রয় নেয়া অনুমোদিত ছিল কিন্তু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর তিনি প্রকাশ্যে জনগণের বিষয়াবলীর তত্ত্বাবধান করেছেন, সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বিচার-ফয়সালা করেছেন এবং বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছেন ও গ্রহণ করেছেন; সুতরাং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বের এবং পরের অবস্থার মধ্যে দৃশ্যমান পার্থক্য রয়েছে...সুতরাং সংগঠনটি কর্তৃক খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা মূল্যহীন কিছু ফাঁকাবুলিসর্বস্ব; বরং তাদের ভিতর লুকায়িত কোনকিছুকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে এই ঘোষণা, যা পূর্বে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজন কর্তৃক কোন সত্যতা ছাড়া কিংবা অপরিহার্য রাষ্ট্র উপাদান ছাড়া রাষ্ট্র ঘোষণার শামিল। সুতরাং, অপরিহার্য রাষ্ট্র উপাদান, শাসন-কর্তৃত্ব, নিরাপত্তা কিংবা প্রতিরক্ষার কোন তোয়াক্কা না করেই, কখনো তাদের মধ্যকার কেউ নিজেদের খলিফা এবং অন্যরা নিজেদের মাহদী কিংবা আরও অনেক কিছু ঘোষণা দিয়েছে!

. খিলাফত একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাষ্ট্র। শারীআহ তা প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এবং শাসন, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনায় গৃহীত আহকামসমূহের ধরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে অপরিহার্য কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। তাই খিলাফত বেতার, টেলিভিশন, পত্রিকা কিংবা ইন্টারনেটে প্রচারিত নামমাত্র কোন ঘোষণা নয়। বরং তা প্রতিষ্ঠার সংবাদ এতটাই অভুতপূর্ব হবে যা সমস্ত দুনিয়াকে প্রকম্পিত করবে এবং তা বাস্তবতায় শক্ত ভিত্তিমুলের উপর প্রতিষ্ঠিত হবে, এর শাসন ক্ষমতা ঐ ভুখন্ডের আভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান করবে এবং ইসলাম বাস্তবায়ন করবে এবং দাওয়াহ ও জিহাদের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইসলামকে ছড়িয়ে দিবে।

. তাদের এই ঘোষণা মুল্যহীন ফাঁকাবুলিসর্বস্ব ছাড়া আর কিছুই না, যা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র কাঠামোর বাস্তবতার মধ্যে কোন উন্নতি বা অবনতি বয়ে আনবে না। ঘোষণার পূর্বে এটা ছিল সশস্ত্র সংগঠন এবং পরেও তাই আছে। এর পরিস্থিতি অনেকটা অন্যান্য সশস্ত্র সংগঠনের মত, যারা সিরিয়া কিংবা ইরাক কিংবা উভয়টিতে কোন শাসন-ক্ষমতা অর্জন করা ছাড়াই নিজেদের মধ্যে এবং সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত। আইএসআইএস (ISIS) সহ এই গোষ্ঠীগুলোর যে কেউ যদি রাষ্ট্র উপাদান সম্বলিত একটি উপযুক্ত স্থানের শাসন-কর্তৃত্ব অর্জন করে খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে ইসলাম বাস্তবায়ন করত, তখনই কেবল বিষয়টি যাচাই যোগ্য হতো যে, তারা কতটুকু শারীআহ অনুসরণ করেছে কিংবা তাদের অনুসরণ করা যায় কিনা। কারণ খিলাফত প্রতিষ্ঠা শুধু হিযবুত তাহরী-এর দায়িত্ব নয় বরং সকল মুসলিমের, সুতরাং যারাই সঠিক পন্থায় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করুক না কেন, সেই খিলাফতের আনুগত্য করা হবে...কিন্তু বাস্তবতা এমন নয়, বরং আইএসআইএস (ISIS) সহ এসব সশস্ত্র সংগঠনগুলো হচ্ছে বেসামরিক বাহিনী (militia), যাদের না আছে কোন রাষ্ট্র উপাদান কিংবা না আছে কোন শাসন-কর্তৃত্ব প্রয়োগের ক্ষেত্র অথবা নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা। সুতরাং আইএসআইএস (ISIS) কর্তৃক খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা ফাঁকাবুলি ছাড়া আর কিছুই না। তাই বিষয়টি পর্যবেক্ষনেরও যোগ্য নয় কারণ তা সুস্পষ্ট দৃশ্যমান...

. বরং এই ঘোষণার ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে খিলাফত ব্যবস্থা সম্পর্কে যে নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে তা গবেষণা ও পর্যবেক্ষন করা জরুরী; কারণ খিলাফত সম্পর্কে মুসলিমদের মধ্যে যে সুউচ্চ ধারণা এবং এর মহান তাৎপর্য প্রতিষ্ঠিত ছিল তাকে ভেঙ্গে চুর্ণবিচুর্ণ করার প্রয়াস চালানো হয়েছে। একে দুর্বল মস্তিষ্কসম্পন্ন ব্যক্তিদের চিন্তার পর্যায়ে নামানো হয়েছে। সহজভাবে বললে এটা হচ্ছে কিছু ব্যক্তির হতাশা নির্গমন করার একটি মাধ্যম। এমন যেন, তাদের কেউ একজন একটি খোলা ময়দানে কিংবা কোন এক গ্রামে দাড়িয়ে ঘোষণা দিবে আমি খলিফা এবং তারপর সে এটা ভেবে নির্বাসিত হবে যে, আহ, দারুন কিছু করলাম! এতে খিলাফতের গুরুত্ব এবং শ্রেষ্ঠত্ব দুটোই হারাবে, এর সুউচ্চ ধারণাটি ক্ষয় হতে থাকবে এবং খিলাফত শুধুমাত্র একটি মিষ্টি কথায় পরিণত হবে, যা সকলের মুখে মুখে কথিত থাকবে কিন্তু ভেতরটা ফাঁকা। এসবই ঘটছে এমন একটি সময়ে, যখন পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় খিলাফত প্রতিষ্ঠার সময় ঘনিয়ে এসেছে এবং মুসলিমরা ব্যাকুল হয়ে এর অপেক্ষায় আছে এবং আরও তারা প্রত্যক্ষ করছে হিযবুত তাহরীর রাসূল (সাঃ)-এর প্রদর্শিত পথে এগিয়ে যাচ্ছে, যেভাবে তিনি (সাঃ) মদীনা আল-মুনাওয়ারাতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন... এবং উম্মাহ ও হিযব-এর মধ্যে প্রাণবন্ত ও অর্থবহ ব্যাপক গণসংযোগ আর উম্মাহর পক্ষ থেকে অভুতপূর্ব সাড়া। সুতরাং মুসলিমরা এই গণসংযোগ থেকে ইসলামে ভ্রাতৃত্বের প্রকৃত অর্থ, খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযব-এর সাফল্যের আনন্দ এবং উম্মাহর সঠিক তত্ত্বাবধানের সাথে তারাও যে শরিক এবং তা নবুয়্যতের আদলে প্রকৃত (genuine) খিলাফত, সেটা অনুধাবনে সক্ষম হয়েছে... ঠিক এমনই একটি সময়ে খিলাফতের ঘোষণা এলো, যা সাধারণ জনগণের চিন্তায় খিলাফত সম্পর্কে প্রকৃত বাস্তবতার বদলে একটি অস্পষ্ট এমনকি ধ্বংসাত্মক চিত্র দিবে...

. এসব কিছু থেকে একটা না অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে... এই ঘোষণা এলো এমন সময়সীমায় যখন ঘোষনাকারীদের হাতে কোন শাসন-কর্তৃত্ব নাই, যা দ্বারা তারা আভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে। মুলতঃ তারা ফেসবুক এবং মিডিয়াতে ঘোষণা দিয়েছে... এটা সন্দেহজনক। বিশেষ করে এই সশস্ত্র সংগঠনগুলো যেহেতু কোন আদর্শিক প্রক্রিয়ায় গড়ে উঠেনি তাই এগুলো সহজেই প্রাচ্য-প্রাশ্চাত্যের বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদানের সহজ অনুপ্রবেশের অনুমোদন দেয় এবং আমরা সবাই জানি প্রাচ্য এবং প্রাশ্চাত্য ইসলাম এবং খিলাফতের বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং এটাও সুপ্রতিষ্ঠিত যে তারা এর স্বরূপকে ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত, কারণ তারা এর নাম-নিশানা মুছে ফেলতে পারেনি। খিলাফত যাতে শুধুমাত্র মূল্যহীন নামসর্বস্ব হিসেবে অবশিষ্ট থাকে, সে বিষয়ে তারা সজাগ। তাই যে শক্তিশালী ঘোষণা শুনে কাফিররা স্তম্ভিত হওয়ার কথা, বরং তা এখন শত্রুদের জন্য এক হাস্য-কৌতুকের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

. যদিও তাদের এ সমস্ত কার্যক্রম ক্ষতিকর, তারপরও আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা দিয়ে ইসলামের শত্রু প্রাচ্য-প্রাশ্চাত্যকে, তাদের দালালদের এবং তাদের অজ্ঞ অনুসারীদেরকে বলিষ্ঠভাবে জানাতে চাই যে, পৃথিবীকে শত শত বছর ধরে নেতৃত্বদানকারী খিলাফত সবার নিকট সুপরিচিত এবং অজানা নয়, শত ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের পরও দুর্ভেদ্য।

তারা চক্রান্ত করে এবং আল্লাহও কৌশল করেন; কিন্তু আল্লাহ সর্বোত্তম কৌশলী। [সূরা আল-আনফালঃ ৩০]

সর্বশক্তিমান, সর্ব বিজয়ী আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য একটি দলকে পথপ্রদর্শন করেছেন, যার সদস্যদের না কেনা-বেচা করা যায়, না তাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিচ্যুত করা যায়। তারা খিলাফতকে তাদের চিন্তায়-শ্রবনে-দৃষ্টিতে ধারণ করেছে, তারা এর জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং শাসন ও প্রশাসনিক কাঠামোসহ এর আইন-কানুন (আহকা) এবং এর সংবিধান ইসলামের উৎস হতে বের করেছে। তারা হুবহু নবুয়্যতের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়পথে এগিয়ে এসেছে...আল্লাহর ইচ্ছায় তারা হচ্ছে সেই ঢাল, যা যেকোন ধ্বংসকে প্রতিরোধ করে, তারা হচ্ছেন সেই পাথর যা দ্বারা কাফের, তাদের দালাল ও তাদের অজ্ঞ অনুসারীদের চক্রান্ত ভেঙ্গে চুর্ণবিচুর্ণ হয়। পরাক্রমশালী আল্লাহর ইচ্ছায়, তারা সচেতন রাজনীতিবিদ যারা ইসলাম ও মুসলিমদের শত্রুদের চক্রান্তকে চুর্ণবিচুর্ণ করে এবং এটা তাদের কাছেই ফিরিয়ে দেয়,

কিন্তু কুচক্র, কুচক্রীদেরকেই ঘিরে ধরে। [সূরা ফাতিরঃ ৪৩]

হে আমার প্রিয় ভাই এবং বোনেরা

ইসলামী খিলাফতের বিষয়টি একটি মহান এবং বৃহৎ ব্যাপার এবং তা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা প্রতারক গণমাধ্যমগুলোর নিছক কোন সংবাদ হবে না বরং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার ইচ্ছায় তা হবে এমন এক ভূমিকম্প যা ভূ-রাজনীতির ভারসাম্যকে প্রকম্পিত করবে এবং ইতিহাসের চেহারা এবং গতিপথকে পাল্টে দিবে...এবং রাসূল (সাঃ) এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী নবুয়্যতের আদলেই আবার খিলাফত ফিরে আসবে এবং এর প্রতিষ্ঠাকারীরা প্রথম খুলাফায়ে রাশেদার মতই খোদাভীরু এবং সাচ্চা হবে, উম্মাহ তাদেরকে ভালবাসবে এবং তারাও উম্মাহকে ভালবাসবে এবং উম্মাহ তাদের জন্য দুআ করবে, তারাও উম্মাহর জন্য দুআ করবে এবং উম্মাহ তাদের সাথে সাক্ষাতে আনন্দিত হবে এবং তারাও উম্মাহর সাথে সাক্ষাতে আনন্দিত হবে। এমন হবে না যে উম্মাহ তাদের উপস্থিতিকে ঘৃণা করবে...নবুয়্যতের আদলে আগত খিলাফতের প্রতিষ্ঠাকারীগণ এরকমই হবেন। যারা এর জন্য উপযুক্ত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাদেরকেই তা দিবেন এবং আমরা আল্লাহর নিকট দুআ করি যেন তিনি আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন এবং আমরা আল্লাহর নিকট দুআ করি যেন তিনি আমাদেরকে তা প্রতিষ্ঠা করার তৌফিক দেন,

সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সেই লেনদেনের উপর... [সূরা আত-তাওবাহঃ ১১১]

আল্লাহর রহমত হতে হতাশ হবেন না। আল্লাহ আপনাদের কোন প্রচেষ্টাকে বৃথা করবেন না, না তাঁর নিকট যে দুআ আপনারা করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করবেন, না তাঁর উপর যে ভরসা আপনারা ন্যস্ত করেছেন তা ছুঁড়ে ফেলবেন। সুতরাং, আমাদেরকে সাহায্য করুন আরও প্রচেষ্টার মাধ্যমে, ন্যায়নিষ্ঠার মাধ্যমে, যাতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আপনাদের ন্যায়নিষ্ঠাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেন এবং এসব ফাঁকাবুলিসর্বস্ব ঘটনা-রটনাকে পাত্তা দিয়ে আপনাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের গতি কমিয়ে ফেলবেন না।

আশা করি এই উত্তরটি যথেষ্ট। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আপনাদের সফলতা দান করুক এবং সাহায্য করুক এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করুক।

ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু

আপনাদের ভাই

আতা বিন খলিল আবু আল-রাশতা
হিযবুত তাহরী-এর আমীর
০৩ রমযান, ১৪৩৫ হিজরী
০১ জুলাই, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ

No comments:

Post a Comment