18.7.14

ইসলামী রাষ্ট্রঃ খায়বারের যুদ্ধ এবং প্রতিবেশী দেশে দূত প্রেরণ

খায়বারের যুদ্ধ

আল্লাহর রাসুল (সাঃ) হুদাইবিয়া থেকে প্রত্যাবর্তনের পর ১৫ দিন মদীনায় অবস্থান করেন এরপর তিনি (সাঃ) সাহাবীদের খায়বার আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেন সে সাথে তিনি (সাঃ) এটাও বলেন যে, যারা হুদাইবিয়া প্রান্তরে তাঁর সাথে উপস্থিত ছিল, শুধু তারাই যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়

বস্তুতঃ হুদাইবিয়া প্রান্তরে যাত্রা করার পূর্বেই রাসুল (সাঃ) কুরাইশদের সাথে খায়বারের ইহুদী গোত্রগুলোর গোপন আঁতাতের খবর পেয়েছিলেন মুসলিমদেরকে পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে ধ্বংস করার জন্য তারা একত্রিত হয়ে গোপনে মদীনা আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছিল গোপন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবহিত হবার পরই তিনি (সাঃ) কুরাইশদের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদন করার লক্ষ্যে মক্কায় শান্তিপূর্ণ সফরের পরিকল্পনা করেন যেন কুরাইশ গোত্রের সাথে তাঁর অভিষ্ট সন্ধি হওয়া মাত্রই তিনি (সাঃ) খায়বারের বিশ্বাসঘাতক ইহুদীদের শায়েস্তা করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন তাই কুরাইশদের সাথে মুসলিমদের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে যখন ইহুদীরা কুরাইশদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, তার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি (সাঃ) মুসলিমদের খায়বার আক্রমণ করার নির্দেশ দিলেন এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন

আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ১৬০০ মুসলিম পদাতিক ১০০ জন অশ্বারোহী নিয়ে খায়বারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এদের সকলেই ছিল আল্লাহর সাহায্যের ব্যাপারে নিশ্চিত যাত্রা করার তিনদিনের মধ্যে রাসুল (সাঃ) তাঁর দলবলসহ খায়বার পৌঁছে যান এবং ইহুদীরা তাদের উপস্থিতি টের পাবার আগেই তাদের দূর্গ ঘেরাও করে ফেলেন যদিও মুসলিমরা রাতেই খায়বারে ইহুদীদের বসতিতে পৌঁছে গিয়েছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা আক্রমণ না করে শুধু দূর্গের বাইরে বসেই রাত পার করেছিল সকাল বেলায় ইহুদী গোত্রের কৃষকরা একে একে কোদাল-কাস্তে আর ঝুড়ি হাতে দূর্গের বাইরে বের হয়ে এল হঠাৎ দূর্গের পাশে মুসলিমদের দেখতে পেয়ে তারা ভয়ে পেছন ফিরে দৌড়ে পালালো আর চিৎকার করে বলতে লাগলঃ মুহাম্মদ এসেছে তার বাহিনী নিয়ে তাদের চিৎকার শুনে রাসুল (সাঃ) বললেনঃ আল্লাহু আকবর (আল্লাহ মহান)! খায়বারের ইহুদীদের ধ্বংস আসন্ন আমরা যখন কোন এলাকায় আগমন করি, তখনই তাদের দূর্ভাগ্য সূচিত হয়; তাদের সকালটা তাদের জন্য মন্দ হয়, যাদের পূর্বে সতর্ক করা হয়েছিল

খায়বারের ইহুদীরা হুদায়বিয়া সন্ধির বিষয়ে অবহিত হবার পর থেকেই মুহাম্মদ (সাঃ)এর কাছ থেকে আক্রমণের আশঙ্কা করছিল ইহুদীদেরকে তাদের মিত্রপক্ষ কুরাইশ থেকে বিচ্ছিন্ন করাই যে চুক্তির প্রকৃত উদ্দেশ্য, তারা এটা পরিষ্কারভাবে বুঝেছিল নতুন বিপদজনক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মধ্য হতে কেউ কেউ ওয়াদি আল-কুরাএবং তায়মা ইহুদী গোত্রগুলোর সাথে নতুন মিত্রতা তৈরী করার প্রস্তাবও দিয়েছিল, যেন তারা একত্রিত হয়ে মদীনা আক্রমণ করতে পারে তাহলে তাদের নিজেদের রক্ষা করতে আরবদের থলের আর কোন দরকার হত না বিশেষ করে, এরকম একটা বিপদজনক সময়ে যখন কুরাইশরা আল্লাহর রাসুলের সাথে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে অন্যান্য ইহুদীরা অবশ্য মুসলিমদের সাথে শান্তিচুক্তি করার সুখ-স্বপ্নে বিভোর ছিল তারা আশা করেছিল যে, মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেই হয়তো মুসলিমদের ইহুদী বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে তারা মাঝে মাঝেই একে অপরকে সম্ভাব্য বিপদের ব্যাপারে সর্তক করে দিত তারা এটাও জানতো যে, মুহাম্মদ (সাঃ) কুরাইশদের সাথে তাদের গোপন চক্রান্তের কথা জানতে পেরেছেন এবং তাদের আক্রমণ করতে একরকম প্রস্তুত হয়েই আছেন কিন্তু তাদের নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই, মুসলিমদের কাছ থেকে আকষ্মিক আক্রমণের জন্য তারা একেবারেই প্রস্তুত ছিল না ফলে সব পরিকল্পনা বাদ দিয়ে তারা গাতফান গোত্রের সাহায্য চাইতে বাধ্য হল তারা তাদের অবস্থানকে সুরক্ষিত করতে মুসলিমদের আক্রমণকে প্রতিহত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল কিন্তু মুসলিম সেনাবাহিনীর তড়িৎ আক্রমণের মুখে তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল

অবশেষে তারা মরিয়া হয়ে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর সাথে সমঝোতা করার শেষ চেষ্টা করল তিনি (সাঃ) তাদের জীবন ভিক্ষা দিলেন শুধু তাই নয়, মুহাম্মদ (সাঃ) তাদের নিজ নিজ গৃহে থাকারও অনুমতি দিলেন বিজয়ের নীতি অনুসারে সিদ্ধান্ত হল যে, ইহুদীদের জমিজমা আঙ্গুরের বাগান মুহাম্মদ (সাঃ) এর অধিকারে থাকবে ইহুদীরা তাদের কৃষিক্ষেত বাগানে কাজ করতে পারবে, তবে বাৎসরিক উৎপাদিত ফসল ফলমূলের অর্ধেক মুসলিমদের দিতে হবে শেষ পর্যন্ত তারা মুহাম্মদ (সাঃ) এর সকল শর্ত মেনে নিয়েই সেখানে বসবাস করতে সম্মত হয় এরপর মুহাম্মদ (সাঃ) সাহাবীদের নিয়ে মদীনায় ফিরে আসেন এবং পরবর্তী বছর কাযা উমরাহ আদায় করার পূর্ব পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন

খায়বারে ইহুদীদের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব খর্ব করে ইসলামের শাসন-কর্তৃত্বের কাছে ইহুদীদের নতি স্বীকার করানোর মাধ্যমে বিপদজনক উত্তরাঞ্চল থেকে আল-শাম পর্যন্ত এলাকাকে রাসুল (সাঃ) নিরাপদ এলাকায় পরিণত করেন যেভাবে তিনি (সাঃ) হুদাইবিয়ার সন্ধির মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রের দক্ষিনাঞ্চলকে করেছিলেন বিপদমুক্ত প্রকৃতপক্ষে, রাসুল (সাঃ) এর এই সব কর্মকান্ডই সমস্ত আরব ভূ-খন্ড বহির্বিশ্বে ইসলামের আহবানকে প্রসারিত করার ভিত্তি হিসাবে কাজ করেছিল


প্রতিবেশী দেশে দূত প্রেরণ

যেহেতু ইসলাম একটি সার্বজনীন দ্বীন এবং দ্বীন প্রেরণ করাই হয়েছে মানব জাতির সার্বিক কল্যাণে, তাই হিজাযে ইসলামী দাওয়াত একটা সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছানোর সাথে সাথেই মুহাম্মদ (সাঃ) হিজাযের বাইরে ইসলামের আহবান ছড়িয়ে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করতে লাগলেন কারণ আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ

এবং আমি তোমাকে সমস্ত সৃষ্টিজগতের জন্য রহমত হিসাবে পাঠিয়েছি [সূরা আল-আম্বিয়াঃ ১০৭]

আল্লাহ তাআলা সূরা সাবা-তে আরও বলেছেনঃ

এবং আমি তোমাকে সমস্ত মানবজাতির প্রতি সুসংবাদ দাতা সতর্ককারী হিসাবে প্রেরণ করেছি [সূরা সাবাঃ ২৮]

এছাড়া আল্লাহ তাআলা সূরা তাওবাহ-তে বলেছেনঃ

নিশ্চয়ই তিনি রাসুল পাঠিয়েছেন হেদায়েত সত্যদ্বীন সহকারে, যেন এই দ্বীন সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী হয়, যদিও মুশরিকরা তা ঘৃণা করে [সূরা -তাওবাহঃ ৩৩]

নিজ দেশে ইসলামী দাওয়াহ-কে শক্তিশালী করা এবং ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা রক্ষায় সামর্থ্য অর্জন করার পরই আল্লাহর রাসুল (সাঃ) হির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ আরম্ভ করেন তিনি (সাঃ) একে একে বিভিন্ন স্থানে তাঁর দূত পাঠাতে আরম্ভ করলেন তাঁর শাসন-কর্তৃত্বের বাইরের সমস্ত আরব ভূ-খন্ডকে তিনি (সাঃ) ইসলামী রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির আওতায় নিয়ে এসেছিলেন তারপর যখন সমস্ত হিজায অঞ্চলে তাঁর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হল, তখন আরবের সীমানার বাইরের যে কোন অঞ্চলের সাথে যোগাযোগকে পররাষ্ট্রনীতি হিসাবে বিবেচনা করা হত যেমনঃ পারস্য বা রোমান সাম্রাজ্য ইতিমধ্যে হুদাইবিয়া চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় এবং খায়বারে ইহুদীদের কর্তৃত্ব বিলুপ্ত ওয়া পর পুরো হিজায অঞ্চলেই মুহাম্মদ (সাঃ) এর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কারণ কুরাইশদেরও আসলে তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো কোন শক্তি ছিল না এরকম অবস্থাতেই তিনি (সাঃ) বহির্বিশ্বে তাঁর প্রতিনিধি দল পাঠান যা হোক ইতিহাস বলে, ইসলামী রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে সমর্থন দেবার জন্য নিজভূমিতে রাসুল (সাঃ) শাসন-কর্তৃত্ব পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হবার পরই তিনি (সাঃ) বহির্বিশ্বে তাঁর প্রতিনিধি প্রেরণ করেছিলেন

খায়বার থেকে প্রত্যাবর্তনের একদিন পর রাসুল (সাঃ) সাহাবীদের ডেকে বললেনঃ “‘হে আমার লোকসকল! নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমাকে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণার্থে প্রেরণ করেছেন সুতরাং, ঈসা ইবন মারিয়মের হাওয়ারীদের মতো তোমরা আমার বিরুদ্ধাচারন করো না।’ তখন সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেনঃ ‘এবং কিভাবে হাওয়ারীগণ তার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল, হে আল্লাহর রাসুল? তিনি (সাঃ) বললেনঃ তিনি তাদের আহবান করেছিলেন, যার দিকে আমি তোমাদের আহবান করছি কিন্তু কাউকে নিকটবর্তী কোন স্থানে প্রেরণ করা হলে সে তা মেনে নিত অথচ দূরবর্তী স্থানে প্রেরণ করা হলে সে তা অপছন্দ করতো এবং পিছে পড়ে থাকত।’”

এরপর তিনি (সাঃ) তাঁর সাহাবীদের বললেন যে, তিনি (সাঃ) হিরাক্লিয়াস (রোমান অধিপতি), খসরু (পারস্যের অধিপতি), আল-মুকাওকিস (মিশরের অধিপতি), আল-হারিছাহ আল-গাচ্ছানী (হীরার অধিপতি), আল-হারিছাহ আল-হিমইয়ারী (ইয়েমেনের অধিপতি) এবং আল-নাজ্জাশীকে (আবিসিনিয়ার অধিপতি) ইসলামে আহবান জানিয়ে দূত প্রেরণ করতে চান সাহাবারা কথায় সম্মত হলেন এবং রাসুল (সাঃ) এর জন্য মুহাম্মদ, আল্লাহর রাসুলকথাটি খোদাই করা একটি রুপার সীলমোহর তৈরী করলেন এরপর তিনি (সাঃ) সমস্ত শাসকবর্গকে ইসলামের দিকে আহবান জানিয়ে তাদের কাছে প্রতিনিধি প্রেরণ করেন হিরাক্লিয়াসের কাছে তাঁর বার্তা পৌঁছানোর জন্য দাহিয়াহ ইবন খালিফাহ আল-কালবী; খসরুর কাছে আবদুল্লাহ ইবন হুযাইফা আল-সাহমী; নাজ্জাশীর কাছে উমর ইবন উমাইয়া আল-দামরী; মুকাওকিসের কাছে হাতিব ইব আবি বালতাআ; ওমানের বাদশাহর কাছে আমর ইবন আল আস আল-সাহমী; আল ইয়ামামাহ- বাদশাহর কাছে সুলাইত ইবন আমর; বাহরাইনের বাদশাহর কাছে আল-আলা ইবন আল-হাদারামী; তুকহাম আল-শামের বাদশাহ, আল-হারিছাহ আল-গাচ্ছানী কাছে সুজাইবন ওয়াহাব আল-আসাদী এবং আল-হারিছাহ আল-হিমইয়ারীর কাছে আল-মুহাজির ইবন উমাইয়া আল-মাখযুমীকে দূত হিসাবে প্রেরণ করলেন

প্রেরিত দূতেরা একই সাথে যাত্রা শুরু করেন এবং আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ অনুযায়ী নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছান প্রেরিত দূতেরা এসব শাসকবর্গের কাছে রাসুল (সাঃ) এর বার্তা পৌঁছে দেন আল্লাহর রাসুলের আহবানে বেশীর ভাগই শাসকই মোটামুটি ইতিবাচক সাড়া দেয় আর এদের মধ্যে কেউ কেউ অত্যন্ত রূঢ় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায় আরবের শাসকদের মধ্যে ইয়েমেন ওমানের বাদশাহ রূঢ় প্রতিক্রিয়া জানায় বাহরাইনের বাদশাহ ইতিবাচক সাড়া দিয়ে ইসলাম গ্রহন করে আর ইয়ামামার বাদশাহ বলে, সে ইসলাম গ্রহন করতে প্রস্তুত যদি তাকে শাসক হিসাবে নিযুক্ত করা হয় আল্লাহর রাসুল (সাঃ) তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন আর অনারব শাসকদের মধ্যে, আল্লাহর রাসুলের চিঠি পাঠ করার পর পারস্যের অধিপতি খসরু অত্যন্ত ক্রোধান্বিত হয়ে সে চিঠি টুকরা টুকরা ফেলে শুধু তাই নয়, হিজাযের নেতার কর্তিত মস্তক তার কাছে হাজির করার জন্য সে তার ইয়েমেনের গর্ভনর বাযানকে নির্দেশ দেয়

আল্লাহর রাসুল (সাঃ) একথা শোনার পর বলেনঃ আল্লাহ যেন খসরুর রাজত্ব টুকরা টুকরা করে দেন এদিকে খসরুর নির্দেশ পাবার পর ইয়েমেনের গর্ভনর বাযান ইসলামের ব্যাপারে খোঁজখবর নেন এবং খুব দ্রুতই ইসলাম গ্রহনের ঘোষনা দেন তাকে মুহাম্মদ (সাঃ) ইয়েমেনের গর্ভনর নিযুক্ত করেন, যদিও তিনি প্রকৃত অর্থে আল-হারিছাহ আল-হিমইয়ারী অর্থাৎ ইয়েমেনের বাদশাহ ছিলেন না আর মিশরের অধিপতি মুকাওকিস দাওয়াতের উত্তরে ইতিবাচক মনোভাব জানিয়ে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর জন্য উপহার পাঠান নাজ্জাশীর মনোভাবও ছিল ইতিবাচক, বলা হয়ে থাকে যে, নাজ্জাশী আসলে ইসলাম গ্রহন করেছিলেন আর হিরাক্লিয়াস আসলে রাসুল (সাঃ) এর আহবানকে এত গুরুত্ব দেয়নি না সে কোন সৈন্য পাঠানোর ব্যাপারে মনযোগী ছিল, আর না ব্যাপারে কিছু বলেছিল আল-হারিছাহ আল-গাচ্ছানী যখন আরবের ধর্মপ্রচারককে শাস্তি দেবার জন্য সৈন্যদল পাঠানোর অনুমতি চায়, তখন সে এর উত্তরে কিছুই বলেনি বরং গাচ্ছানীকে আল-কুদসে (জেরুজালেম) যাবার নির্দেশ দিয়েছিল

বহির্বিশ্বে এই দাওয়াতী কার্যক্রমের ফলে, আরবের লোকেরা দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করতে থাকে তারা দলবদ্ধ হয়ে রাসুল (সাঃ) এর কাছে ছুটে আসে এবং ইসলাম গ্রহনের ঘোষনা দেয় আর অনারবদের সাথে রাসুল (সাঃ) জিহাদ করার ঘোষনা দেন এবং এজন্য তাঁর সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত করতে থাকেন

No comments:

Post a Comment