১৭ জুন, ২০১৩ হাসিনা
কর্তৃক মন্ত্রীপরিষদ সভায় টিকফার খসড়া অনুমদিত হয়। ২২
মে, ২০১৩ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মণি বিশদ বর্ণনা ছাড়াই এক প্রেস কনফারেন্সে টিকফার
পক্ষে ওকালতি করে দাবি করেন, এই চুক্তি ঢাকা এবং ওয়াশিংটন উভয়ের জন্য লাভজনক হবে। উক্ত প্রবন্ধে আমরা টিকফা চুক্তিকে ব্যাখ্যা
করবো জাতীয় স্বার্থ এবং ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে।
টিকফা কি?
টিকফা শব্দটি নতুন, যার পূর্ববর্তী নাম ছিল টিফা (Trade and
Investment Framework), সংক্ষেপে TIFA। যার বাংলা হলো, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত
কাঠামোগত সমঝোতা। টিফা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এক দশকেরও অধিককাল থেকে। চুক্তির খসড়া
প্রণয়েনের কাজ শুরু হয় ২০০১ সালে। ১৩ টি ধারা ও ৯টি প্রস্তাবনা সম্বলিত চুক্তিটির প্রথম
খসড়া প্রস্তুত হয় ২০০২ সালে। পরে আবার সংশোধিত হয় ২০০৪ এবং ২০০৫ সালে। কিন্তু সচেতন
মানুষের ও আদর্শিক রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিবাদের মুখে চুক্তিটি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে উম্মাহকে ধোকা দেওয়ার জন্য Co-operation শব্দটি যোগ করে নাম দেয়া হয় TICFA বা Trade and Investment
Co-operation Framework Agreement.
টিকফার উদ্দেশ্য
চুক্তিটি মার্কিন সরকারের
সাথে বাংলাদেশ সরকারের। চুক্তির প্রতিটি ধারা-উপধারা মার্কিনীদের তৈরী, যেহেতু বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের
তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য প্রশ্নাতীত এবং এই অসমতা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা অদূর
ভবিষ্যতেও দেখা যাচ্ছে না। তাই বলা যায়, চুক্তিটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থকে যুক্তরাষ্ট্রের
স্বার্থে কোরবানী করবে।
টিকফার পরিণতি
চুক্তিটির শুরু থেকে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। ২০০৫
সালে চুক্তির কিছু অংশ ফাঁস হয়, যা থেকে উক্ত চুক্তি সম্পর্কে
জানা যায়, যা অন্যান্য দেশের সাথে মার্কিনিদের সম্পাদিত চুক্তির অনুরূপ। তবে চুক্তিগুলোর
মুল ভাবনা একই। চুক্তির খসড়ায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা উল্লেখ থাকলেও
বাস্তবে বাজার উন্মুক্তকরণ এবং সেবা খাতের ঢালাও বেসরকারিকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক খাতসমূহকে
মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানীর স্বার্থ সংরক্ষনের সুস্পষ্ট রূপরেখা
বলে প্রতিমিত।
চুক্তির প্রস্তাবনায় বলা
হয়েছে, উভয় রাষ্ট্রই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের
জন্য উদারনৈতিক নীতি গ্রহণ করবে। বেসরকারী খাতের বিকাশের জন্য উভয় দেশে উচ্চ পর্যায়ের
সরকারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত “বাণিজ্য
ও বিনিয়োগ কমিশন” বেসরকারী খাতের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল ও পরামর্শ সরবরাহ
করবে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু সেবা খাতের কথা উল্লেখ রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী
যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে বাংলাদেশে শুধুমাত্র সেবা খাতেই বিনিয়োগ করবে। চুক্তি অনুযায়ী
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানীর জন্য সকল প্রকার শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করতে বাধ্য
থাকবে। দেশীয় শিল্প সংরক্ষনের জন্য কোন প্রকার সুবিধা দেওয়া যাবে না। ১৯৮৬ সালে সম্পাদিত
“দ্বিপাক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তি” অনুযায়ী
মার্কিন বিনিয়োগের পুঁজি ও মুনাফার উপর কোন প্রকার কর আরোপ করা যাবে না এবং বিনিয়োগ প্রত্যাহার করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিনিয়োগের
বিশেষ সুরক্ষাসহ দেশের সেবা খাতকে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য উন্মুক্ত করে
দিতে হবে। কৃষিখাতের সকল প্রকার ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে হবে। মেধাস্বত্ব আইনের কঠোর
বাস্তবায়ন এই চুক্তির এক উল্লেখযোগ্য দিক। মেধাস্বত্ব আইন পুঁজিবাদী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর
শোষনের হাতিয়ার, এই আইনের আওতায় পুঁজিবাদী বহুজাতিক কোম্পানিগুলি অতিরিক্ত মুনাফা লুন্ঠনের
আইনি বৈধতা পাবে। উন্নত প্রযুক্তি, উৎপাদন পদ্ধতি এবং জীবন রক্ষাকারী ঔষধ প্রস্তুতের
জ্ঞানকে কুক্ষিগত করে চুক্তিভুক্ত দেশকে তাদের পণ্যের বাজারে পরিণত করবে। দোহা ঘোষণা
২০০০ অনুযায়ী বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আওতায় বাণিজ্যবিষয়ক মেধাস্বত্ব চুক্তি অনুসারে
বাংলাদেশ ২০১৩ পর্যন্ত পণ্য ও সেবা এবং ২০১৬ পর্যন্ত মেধাস্বত্ব বিধিনিষেধ থেকে ছাড়
পেয়েছে। যে সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে ছোট বড় অনেক ঔষধ শিল্প। টিকফার
ফলে বিকাশমান বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পসমূহ বিপদের সম্মুখীন হবে, কারণ তাদের উৎপাদন মূল্য ছাড়াও প্রদান করতে হবে
পেটেন্ট চার্জ।
টিকফা কি শ্রমিক বান্ধব?
টিকফাতে শ্রমের মান, মানবাধিকার,
শ্রমজীবীদের অধিকার ও পরিবেশগত বিষয় উল্লেখ থাকলেও এর উদ্দেশ্য শ্রমজীবীদের অধিকার
প্রতিষ্ঠা নয় বরং এটা একপ্রকার নন-ট্যারিফ (অশুল্ক) বাধা যা যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করবে
বাংলাদেশের রফতানি নিয়ন্ত্রণে। কয়েক শতাব্দী ধরে বিভিন্ন দেশে ঔপনিবেশিক শাসন চালিয়ে,
নিজ দেশে অমানবিক শ্রম-শোষণ চালিয়ে তারা আজ ধনী
রাষ্ট্র। ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির পর দেশগুলো যখন উন্নতিতে সচেষ্ট, তখন তারা তাদের ইচ্ছেমত শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে শিল্প উন্নতিকে দাবিয়ে রাখার জন্য। এ যেন হাত-পা
খোলা মোটা তাজা মানুষ কর্তৃক পেছনে বাধা অনাহারী
মানুষকে সমানে সমানে কুস্তি প্রতিযোগিতার আহবান।
টিকফাতে পণ্য ও পুঁজির
অবাধ চলাচলের কথা বলা হলেও শ্রমশক্তির যাতায়াতের সুযোগ নাই। শ্রমশক্তিই বাংলাদেশের
মত স্বল্প উন্নত দেশগুলোর মূল সম্পদ। শ্রমশক্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের “খোলা বাজার নীতি” প্রয়োগে অনীহা, যদিও এক্ষেত্রে স্বল্প উন্নত দেশগুলোর রয়েছে আপেক্ষিক সুবিধা। যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র
ঐ সকল ক্ষেত্রেই “খোলা বাজার নীতি” প্রয়োগ
করতে চায় যেখানে রয়েছে তার সুবিধা। উল্লেখ্য, টিকফাতে শুল্ক বহির্ভূত বাধা দূর করার
কথা বলা হলেও শুল্ক বাধার বিষয়ে কিছু বলা হয় নাই। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত পোশাক শিল্পের
পণ্যের ক্ষেত্রে, গড় আন্তর্জাতিক শুল্ক বাধা ১২%, যুক্তরাষ্ট্রে তা ১৯%।
টিকফা কী বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়াবে? বাংলাদেশের পণ্য
রফতানী বাড়াবে?
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে
বলা হচ্ছে টিকফা বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবে, বাড়াবে পণ্যের
রফতানী। চীন ও ভারত তার রফতানীর যথাক্রমে ২১% ও ১৯% পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে করলেও টিকফাতে
স্বাক্ষর করে নাই। অর্থাৎ টিকফা চুক্তি স্বাক্ষরের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানির
কোন সম্পর্ক নাই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রফতানির প্রধান বাধা শুল্ক বাধা। বর্তমানে
বাংলাদেশের পোষাক রফতানিকারকদের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৫.৩% শুল্ক দিতে হয়, যদিও টিকফায় স্বাক্ষর না করে চীনকে পরিশোধ করতে হয় ৩%। যদিও তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের
লোভ দেখিয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য এদেশের উপর চাপ দিচ্ছে, কিন্তু টিকফা এগ্রিমেন্টে এরকম কোন Provision নাই। বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্রের
বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের অশুল্ক বাধা সামান্যই।
যুক্তরাষ্ট্র কেন এই চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য এত আগ্রহী?
পুঁজীবাদী রাষ্ট্র হিসাবে মার্কিনিদের যে কোন কাজের উদ্দেশ্য থাকে মুনাফা। আবার
আদর্শিক রাষ্ট্র হিসাবে মার্কিনীদের রয়েছে আদর্শিক শত্রু। টিকফার কারণ ২ টি।
§ প্রথমত, আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে সহযোগিতার ছদ্মাবরণেঃ আধিপত্য বিস্তারের জন্যই আমেরিকা সহযোগিতার
ছদ্মাবরণে টিফা বা টিকফার মত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলো করার চেষ্টা করছে। এই লক্ষ্যেই পাকিস্তান, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা,
ভিয়েতনাম, ইরাক, উরুগুয়েসহ বিশ্বের ৩০ টিরও বেশি দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্র
ইতোমধ্যেই টিফা চুক্তি সাক্ষর করেছে।
§ দ্বিতীয়তঃ আমেরিকা খুব ভালভাবে উপলদ্ধি করছে খিলাফত অতি সন্নিকটে,
তারা কোনভাবে উম্মাহর ইসলামের আকাংখাকে দমাতে পারবেনা, তাই
মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণ করতে টিকফার মত চুক্তি করতে মরিয়া।
জি.এস.পি সুবিধার পাবার প্রশ্নের সাথে কি টিকফা চুক্তি যুক্ত?
ঢাকায় নিয়োজিত
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা গত ২৮ জুলাই আবারো এই চুক্তি স্বাক্ষরের
জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, Òটিকফা চুক্তি সই না করলে যুক্তরাষ্ট্রের
বাজারে বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে না।” টিকফা চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দরকষাকষিকে অস্বস্তিকর বিষয়
উল্লেখ করে তিনি জানতে চান, Òএতে খারাপ কী আছে?
আমি তো খারাপ কিছু দেখছি না।Ó টিকফার সাথে জি.এস.পি
সুবিধার কোন সম্পর্ক নেই। দোহা নীতি অনুসারে আমেরিকা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৯৭%
পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ার কথা, যেটাকে সাধারণভাবে জি.এস.পি সুবিধা বলা হয়। আমেরিকা ঠিকই
বাংলাদেশের ৯৭% পণ্যের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দিয়েছে,
তবে তাতে ঐসব পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যার রপ্তানির পরিমান খুবই কম। সেই সব
পণ্যের জন্য জি.এস.পি সুবিধা থাকা আর না সমান কথা। বাংলাদেশের
প্রধান রপ্তানি পণ্য, তৈরি-পোশাককে
এর বাইরে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের যে গার্মেন্টস পণ্য
রফতানি হয়, তার ওপর উচ্চহারে শুল্ক বসিয়ে রেখেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের গড় আমদানি শুল্ক হার শতকরা ১ ভাগের মতো। কিন্তু বাংলাদেশের
গার্মেন্টসের ওপর শুল্কহার শতকরা গড়ে ১৫ ভাগ। এই শুল্ক হার
আন্তর্জাতিক বিধিরও পরিপন্থী। এই শুল্ক এমনিতেই বাতিল হওয়া দরকার। এবছরও বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক বাবদ প্রদান করেছে প্রায় ৫৬০০ কোটি
টাকা। এটা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে ঋণ অনুদান নানাভাবে বাংলাদেশে আসে তার ৬ গুণেরও
বেশি। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নয়, বাংলাদেশই যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থের যোগান
দিচ্ছে।
ইসলামের দৃষ্টিতে টিকফা
চুক্তিটি
স্বাক্ষরিত হলে এই চুক্তির আওতায় গঠিত ফোরামে নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য
ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সকল বিষয় নির্ধারিত হবে। অক্সিডেন্টাল কর্তৃক বাংলাদেশের মিলিয়ন
মিলিয়ন ডলারের গ্যাস সম্পদ পুঁড়িয়ে নষ্ট করার অপরাধের মতো বিভিন্ন অপরাধ যখন বিভিন্ন
মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানী কর্তৃক সংঘটিত হবে, তখন এই ফোরাম উম্মাহর স্বার্থকে
জলাঞ্জলি দিয়ে, মার্কিন কোম্পানীর স্বার্থকে সুরক্ষা করবে। মুসলিমরা কাফির
রাষ্ট্রের অধীনস্থ হয় এবং মুসলিম ভুমির উপর তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত
হয়, এমন কোন চুক্তির অনুমোদন কুর’আন এবং সুন্নাহ’র মধ্যে নেই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া
তা’আলা বলেনঃ
“... এবং মু’মিনদের উপর কাফিরদের আধিপত্য আল্লাহ কিছুতেই মেনে
নেবেন না।” [সূরা
আন-নিসাঃ ১৪১]
ইসলামের
দৃষ্টিতে, আন্তর্জাতিক চুক্তি অবশ্যই এমনভাবে সম্পাদন করতে হবে যাতে তা ইসলামের শক্তি
ও উম্মাহর স্বার্থকে আরও সম্প্রসারিত করে। যেসব চুক্তি কাফিরদের শক্তিশালী করে, তা
আমাদের জন্য হারাম। আর দেশটি যদি হয় ক্রুসেডার আমেরিকা, যে ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে
যুদ্ধরত, তাহলেতো চুক্তির প্রশ্নই আসেনা। সুতরাং, ইসলামের দৃষ্টিতে টিকফা একটি হারাম
চুক্তি এবং একে প্রত্যাখ্যান করা মুসলিমদের ঈমানী দায়িত্ব।
আওয়ামী-বিএনপির
নেতৃত্ব ক্ষমতালোভী এবং ঘৃণ্য চরিত্রের, ক্ষমতার জন্য এরা যে কোনো কিছু করতে
প্রস্তুত, এমনকি খুনী মার্কিন সরকার, যাদের হাতের প্রতিটি লোমকুপ নিরাপরাধ মুসলিমদের
রক্তে সিক্ত, তাদের সাথে হাত মেলাতেও প্রস্তুত। শুধুমাত্র টিকফা চুক্তি প্রত্যাখ্যানই
যথেষ্ট নয় বরং তার সাথে বর্তমান দূর্নীতিগ্রস্থ শাসকশ্রেণীকে প্রত্যাখ্যান এবং খিলাফত
প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণেই রয়েছে প্রকৃত সমাধান, কারণ একমাত্র কুর’আন এবং সুন্নাহ দ্বারা
পরিচালিত খিলাফত রাষ্ট্রের নিষ্ঠাবান নেতৃত্বই মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ সংরক্ষণ করবে।
০৩.০৭.২০১৩
No comments:
Post a Comment