12.7.15

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিযবুত তাহরীর-এর কর্মীদের বরখাস্তের ঘটনা এই সত্যকেই সামনে নিয়ে আসল যে, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের পতাকা বহনকারীরা ইসলামকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মোকাবেলা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে

রবিবার, ২৫শে রমজান, ১৪৩৬ হিজরি                                                     ১২/০৭/২০১৫

::প্রেস বিজ্ঞপ্তি::

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিযবুত তাহরীর-এর কর্মীদের বরখাস্তের ঘটনা এই সত্যকেই সামনে নিয়ে আসল যে, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের পতাকা বহনকারীরা ইসলামকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মোকাবেলা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে

গত বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই, ২০১৫), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে, হিযবুত তাহরীর-এর প্রচারপত্র বিতরণের অভিযোগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রকে বরখাস্ত করেছে। এসব ছাত্ররা হলেন: ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাষ্টার্সের ছাত্র মো. শিহাব উদ্দিন এবং মো. সাইদি হাসান সজীব, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মাষ্টার্সের ছাত্র তরিকুল ইসলাম এবং অনার্সের ছাত্র নাকিব ফারহান এবং মো. আলমগীর হোসাইন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এম আমজাদ আলী মিডিয়াকে বলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও নিরাপত্তা হুমকির কারণে এসব ছাত্রকে বরখাস্ত করা হয়েছে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত তথাকথিত গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার ধারক-বাহকদের কর্তৃক ঐতিহাসিক প্রতারণার আরেকটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এম আমজাদ আলী ক্যাম্পাসে স্বাধীনতার চেতনা রক্ষায় তার দায়িত্ব নিয়ে মিথ্যা গর্ব করেছে, অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে সেও ‘রাজনৈতিক ইসলাম’ ব্যতীত অন্য সবকিছুকে সহ্য করে নেয়ার একই সাম্রাজ্যবাদী চেতনাকে বহন করছে। হিযবুত তাহরীর-এর কর্মী এসব মেধাবী ছাত্রগণ কর্তৃক সর্বশক্তিমানের সত্যবাণী নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা কোন নিরাপত্তার জন্য হুমকি? যে দল শত যুলুমের মাঝেও, এমনকি সরকার কর্তৃক সীমাহীন যুলুম ও নির্যাতনের মুখেও কখনও সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেছে নেয়নি এবং ধারাবাহিক বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামের কারণে জনগণের নিকট ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। ধিক্কার বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দেলিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি যারা এমনকি কিছু সাহসী কণ্ঠেরও মুখোমুখি হতে পারলো না, অথচ তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের “মুক্তচিন্তার” মূল প্রতিকৃতি হিসেবে এর গুণকীর্তন গেয়ে বেড়ায়! সুতরাং, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমূখে নবনির্মিত “মুক্তি ও গণতন্ত্র” ফটক এখন থেকে ঢা.বি কর্তৃপক্ষের দ্বৈতনীতির প্রতীক হয়ে থাকবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির (Proctorial Body) কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, ক্যাম্পাসে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সহিংস কর্মকান্ডে লিপ্ত ছাত্রলীগকে কেন আপনারা নিষিদ্ধ করছেন না? সুতরাং, হিযবুত তাহরীর-এর নিরীহ কর্মীদের বরখাস্ত শুধু ঢা.বি কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতারই প্রতীক নয়, বরং এটা ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রেরও ব্যর্থতা, কারণ সে তার আদর্শকে আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে রক্ষা করতে ব্যর্থ।

হে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষ্ঠাবান ছাত্র ও শিক্ষকগণ!

হিযবুত তাহরীর আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছে, কর্তৃপক্ষের এমন যুলুম ও দ্বৈতনীতির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপনারা সোচ্চার হউন। কোন দোষে উম্মাহ্’র এসব গর্বিত সাহসী সন্তানেরা ভুক্তভোগী হবে? তারা তো নিজস্ব কোন স্বার্থে এই ধারাবাহিক রাজনৈতিক সংগ্রামরত নয়; বরং আপনাদের কল্যাণ হাসিলের জন্য, এই স্বৈরাচারী সরকারের কবল হতে আপনাদেরকে রক্ষার জন্য তারা তাদের পার্থিব দুনিয়াকে বিসর্জন দিচ্ছে। সুতরাং, খিলাফতের এসব উদ্যমী কর্মীদের সমর্থনে এগিয়ে আসা আপনাদের নৈতিক এবং ইসলামী দায়িত্ব, কারণ তারাই এই মানবরচিত যুলুমের শাসনের কবল থেকে পরিত্রাণের আপনাদের একমাত্র আশা।

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের সে আহ্বানে সাড়া দাও যখন তিনি তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে ডাকেন যা তোমাদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করে। জেনে রেখো, আল্লাহ্ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে।” [সূরা আল-আনফালঃ ২৪]



হিযবুত তাহরীর-এর মিডিয়া কার্যালয়, উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ

Mobile: +8801798367640                    Skype: htmedia.bd
New official Website: www.ht-bangladesh.info
হিযবুত তাহরীর-এর আমীর শেখ আতা’ ইবনে খলিল আবু-রাশতা-এর ফেসবুক লিংকঃ www.facebook.com/Ata.AbualRashtah
fb page: PeoplesDemandBd
Hizbut Tahrir official website: www.hizb-ut-tahrir.org
Hizbut Tahrir Media Website: www.hizb-ut-tahrir.info

বাংলাদেশে চলমান জলাবদ্ধতার সংকট এটাই প্রমাণ করে যে প্রতারক ধর্মনিরপেক্ষ শাসকদের নিকট জনগণের স্বার্থের কোন মূল্যই নাই

::বাংলাদেশে চলমান জলাবদ্ধতার সংকট এটাই প্রমাণ করে যে প্রতারক ধর্মনিরপেক্ষ শাসকদের নিকট জনগণের স্বার্থের কোন মূল্যই নাই::

প্রসঙ্গঃ

ভারী বর্ষণের দরুণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক রাজধানী ও অর্থনৈতিক রাজধানী নামে খ্যাত যথাক্রমে ঢাকা ও চট্টগ্রামের জনগণ বিশেষতঃ এই রমযান মাসে চরম দূর্ভোগ পোহাতে শুরু করেছে। বর্ষা আগমনের পূর্বেই এই দুটি শহর হাটু পানির নীচে চলে গেছে এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি সামান্য বৃষ্টিপাতেও যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে সরকারের ব্যর্থতার দরুণ প্রতি বছর এভাবেই এই শহর দুটির অধিকাংশ অঞ্চলের জনগণকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মন্তব্যঃ

জলাবদ্ধতা সমস্যা শহরবাসীর জন্য একটি পুরাতন আতঙ্কের নাম, যার কারণে তাদের জীবন দিনকে দিন দূর্বিসহ হয়ে উঠছে। প্রতিবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পূর্বে, মেয়র প্রার্থীরা এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ভোটারদেরকে ওয়াদা দেন কিন্তু বাস্তবে নির্বাচনের পর কোন কিছুরই পরিবর্তন হয় না। রাজধানীকে ‘সবুজ ঢাকা’ বানানোর বর্ণিল নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর পর নতুন মেয়র শিল্পপতি আনিসুল হক এখন সমাধান অনিশ্চিতের দিকে ঝুঁকছেন। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি জানিনা কবে এই জলাবদ্ধতা সমস্যার ইতি ঘটবে। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে নিকট ভবিষ্যতে তা নিয়ন্ত্রনে আসবে।” পূর্বের সকল মেয়রের মত তিনিও এই সমস্যার জন্য সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দোষারোপ করে দায় এড়ানো একই পুরাতন খেলা খেলেছেন।

বাস্তব সত্য হচ্ছে যে, মিডিয়া যেভাবে নতুন মেয়র আনিসুল হককে জনগণের ত্রানকর্তা হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে, প্রকৃতপক্ষে তিনি তা নন, বরং তিনি হচ্ছেন এই দুর্নীতিগ্রস্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ এবং শুধুমাত্র লোভী পুঁজিপতি ও সরকারের বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের স্বার্থ সংরক্ষনের জন্যই তাকে ঐ জায়গায় বসানো হয়েছে। নগর উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্রজেক্টের বিশাল অংকের টাকা যে সরকার দলীয় ও তাদের চাটুকারদের পকেটে যায় তা কারও অজানা নয়। গত চার বছরে ৩০০ কোটিরও বেশী টাকা (প্রায় ৪০০,০০০ ডলার) ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্রজেক্টে খরচ হয়েছে, যার কোন ইতিবাচক ফলাফল এখনও চোখে পড়ে নাই এবং এই টাকা কোথায় গেছে তা আমাদের সবার জানা আছে। এই সংকটের আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট ভুমিদস্যুদের কর্তৃক শহরের বিভিন্ন লেক এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক জলাধারসমূহ অবৈধ দখল হয়ে যাওয়া। সরকার কর্তৃক বন্যার পানি নিয়ন্ত্রনকারী এসব প্রাকৃতিক জলাধারসমূহ ভরাট করে রিয়েল স্টেট ব্যবসার অনুমোদন, এই সমস্যাকে সমাধানের আওতার বাইরে নিয়ে গেছে। তাছাড়া, এইসব জলাধারসমূহ বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে সংযুক্ত, যা আবার সরকারী মদদপুষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দ্বারা অবৈধভাবে দখলকৃত হয়ে আছে। এই হচ্ছে মানবরচিত ক্ষতিকারক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার আসল চেহারা, জনগণের অধিকার ও স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়ে কিছু নির্দিষ্ট শ্রেনী গোষ্ঠীর স্বার্থকে পরিপুষ্ট ও লালন করার জন্যই এটা বিদ্যমান রয়েছে।

খিলাফত ব্যবস্থার শাসনের অধীনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনগণ যে উন্নত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে ইতিহাস তার সাক্ষী এবং খিলাফতের আশু প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই একমাত্র বাংলাদেশের নগরবাসীরা এই জলাবদ্ধতার সমস্যা হতে পরিত্রাণ পাবে। শারী’আহ-এর দৃষ্টিতে এসব লেক ও প্রাকৃতিক জলাধারসমূহ হচ্ছে গণমালিকানাধীন সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত এবং কায়েমী স্বার্থান্বেষী কোন গোষ্ঠী যাতে এসব সম্পত্তিকে কুক্ষিগত করে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করতে না পারে, খিলাফত তা নিশ্চিত করবে। সুতরাং, সবকিছুর সঠিক সমাধান করে ঠিক জায়গায় নিয়ে আসতে গণতন্ত্র এবং এর বিশ্বাসঘাতক শাসকদের ইতিহাসের নর্দমায় নিক্ষেপ করা এখন সময়ের দাবি।

“এবং যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।” [সূরা আন-নিসাঃ ১১৯]


১৫ রমযান, ১৪৩৬
০২ জুলাই, ২০১৫


হিযবুত তাহরীর-এর কেন্দ্রীয় মিডিয়া অফিসের জন্য লিখেছেন
ইমাদুল আমিন, মিডিয়া অফিস সদস্য
হিযবুত তাহরীর, উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ

1.7.15

হিযবুত তাহরীর, আজ সমগ্র মুসলিম উম্মাহ্ এবং বিশেষতঃ তার প্রভাবশালী ও ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিবর্গের প্রতি একটি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছে; যা আজ বাদ জুমু’আ গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত একটি সমাবেশে পড়ে শুনানো হয়

শুক্রবার, ২রা রমজান, ১৪৩৬ হিজরি                                   ১৯. ০৬. ২০১৫

::প্রেস বিজ্ঞপ্তি::

হিযবুত তাহরীর, আজ সমগ্র মুসলিম উম্মাহ্ এবং বিশেষতঃ তার প্রভাবশালী ও ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিবর্গের প্রতি একটি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছে; যা আজ বাদ জুমু’আ গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত একটি সমাবেশে পড়ে শুনানো হয়

আজ, রমযান মাসের প্রথম শুক্রবার, ১৪৩৬ হিজরী, হিযবুত তাহরীর-এর পক্ষ থেকে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ্’র প্রতি একটি বিশেষ আহ্বান জানানো হয়, যার শিরোনাম ছিল, “হিযবুত তাহরীর-এর পক্ষ থেকে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ্ এবং বিশেষতঃ তার প্রভাবশালী ও ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিবর্গের প্রতি চূড়ান্ত আহ্বানের পূর্ববর্তী আহ্বান।” আহ্বানটি পড়ে শোনানোর জন্য সমগ্র বিশ্বব্যাপী হিযবুত তাহরীর-এর বিভিন্ন শাখাসমূহ তাদের নিজ নিজ দেশের প্রসিদ্ধ মসজিদে বাদ জুমু’আ সমাবেশের আয়োজন করে। বাংলাদেশে, হিযবুত তাহরীর-এর সদস্য মোহাম্মদ হেদায়েত উল-ইসলাম, ঢাকাস্থ গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদ (আজাদ মসজিদ) প্রাঙ্গণে কয়েক শত মুসলিমের সামনে আহ্বানটি পড়ে শোনান।

আহ্বানটিতে হিযবুত তাহরীর, মুসলিম উম্মাহ্’র বর্তমান অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থার চিত্র তুলে ধরা হয়... সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, শাসকদের বিশ্বাসঘাতকতা, উম্মাহ্’র সম্পদ লুটপাট, উম্মাহ্’র শত্রুদের কর্তৃক তার সম্মানকে ভূ-লুণ্ঠিত করা ইত্যাদি। হিযব উম্মাহ্’র বর্তমান অধঃপতিত অবস্থা থেকে তার উত্থানের পথ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে, অর্থাৎ খিলাফতে রাশেদাহ্ রাষ্ট্রের পুণঃপ্রতিষ্ঠা। যা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ইসলাম বাস্তবায়ন করবে এবং দাওয়াহ্ ও জিহাদের মাধ্যমে তা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দিবে, এভাবেই সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এটাকে বিজয় দান করবেন। খিলাফতের জন্য কাজ করা কেবলমাত্র একারণেই অপরিহার্য নয় যে তা বাস্তবতা পর্যালোচনা করে মুক্তি ও বিজয় লাভের একমাত্র পথ হিসেবে প্রাপ্ত হয়েছে। বরং, এই অপরিহার্যতার প্রথম এবং প্রধান কারণ হচ্ছে এটা একটি মহান ফরয, সকল ফরযের মা এবং শিরোমণি, যার মাধ্যমে শারী’আহ্ বাস্তবায়িত হয় এবং হুদুদ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যা ছাড়া কোনটাই সম্ভব নয়...এবং একটি ফরয দায়িত্ব পালনের জন্য যা যা করনীয় সেগুলোও ফরয।

তারপর হিযব-এর পক্ষ থেকে একটি উদাত্ত আহ্বান রাখা হয়, যার কিছু অংশ নিম্নে উদ্ধৃত করা হয়েছে এবং আমরা বাংলাদেশের মুসলিমদের এবং বিশেষতঃ প্রভাবশালী ও ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিবর্গের নিকট এই “চূড়ান্ত আহ্বানের পূর্ববর্তী আহ্বান” প্রতি ইতিবাচক সাড়া প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছিঃ

হে মুসলিমগণ এবং বিশেষত তার প্রভাবশালী ও ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিবর্গ!

...এরকম একটি সময়ে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত আহ্বানের পূর্ববর্তী এই আহ্বান জানাচ্ছি যখন খিলাফত ইতিমধ্যে ব্যাপক মুসলিম জনগোষ্ঠীর জনমতের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে...

এখন আর কিছুই বাকি নাই, শুধু আল্লাহ্’র নির্দেশ অনুযায়ী আনসারগণের মতো একজন আনসার এবং সা’দ ইবনে মু’য়ায-এর মতো একজন সা’দ-এর এগিয়ে আসা ব্যতীত...
নিষ্ঠাবান ব্যক্তিগণ, যারা তাদের নিজ দ্বীনের সহায়তায় এগিয়ে আসবে, খিলাফতের কর্মীদের সহায়তায়, হিযবুত তাহরীর-এর সহায়তায়, এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় খিলাফতে রাশেদাহ্, বর্তমানের যুলুমের শাসনের পরবর্তী নবুয়্যতের আদলে খিলাফত, যেমনটি ওয়াদা করেছেন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাঃ

وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ ﴿٥٥﴾

“তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ্ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসন-কর্তৃত্ব দান করবেন...” [সূরা -নূরঃ ৫৫]

যেমনটি সু-সংবাদ দিয়েছেন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)


“...তারপর আসবে যুলুমের শাসন এবং তা বিদ্যমান থাকবে যতক্ষন আল্লাহ্ চান, অতঃপর আল্লাহ্ যখন চান তা তুলে নিবেন। তারপর আসবে নবুয়্যতের আদলে খিলাফত।” [আহমাদ]

এই হচ্ছে আপনাদের প্রতি আমাদের চূড়ান্ত আহ্বানের পূর্ববর্তী আহ্বান, কারণ আমরা আপনাদের কল্যাণ কামনা করি। সুতরাং, দ্রুত সাড়া দিন হে মুসলিমগণ, দ্রুত সাড়া দিন হে ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিবর্গ! ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে অংশগ্রহণ ও নুসরাহ্ প্রদান করুন। নীরব দর্শক না হয়ে হিযবুত তাহরীর-এর সাথে খিলাফত প্রতিষ্ঠার কাজে অংশগ্রহণ করুন। কারণ, আজকে অংশগ্রহণ করলে যে মর্যাদা ও পুরষ্কার পাবেন ভবিষ্যতে তা পাবেন না, যদিও উভয়টিতেই মর্যাদা রয়েছে।

وَمَا لَكُمْ أَلَّا تُنفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ لَا يَسْتَوِي مِنكُم مَّنْ أَنفَقَ مِن قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ ۚ أُولَـٰئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِّنَ الَّذِينَ أَنفَقُوا مِن بَعْدُ وَقَاتَلُوا ۚ وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَىٰ ۚ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ ﴿١٠﴾

“তোমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পূর্বে আল্লাহ’র রাস্তায় ব্যয় করেছে ও জিহাদ করেছে, তারা (অন্যদের) সমান নয়। এরূপ লোকদের মর্যাদা যারা পরে ব্যয় করেছে ও জিহাদ করেছে তাদের অপেক্ষায় অনেক বেশী। তবে আল্লাহ্ উভয়কে কল্যাণের ওয়াদা দিয়েছেন। তোমরা যা কর, আল্লাহ্ সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।” [সূরা আল-হাদীদঃ ১০]

এই হচ্ছে আপনাদের প্রতি আমাদের চূড়ান্ত আহ্বানের পূর্ববর্তী আহ্বান, সুতরাং সর্বশক্তিমান, মহান আল্লাহ্ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করবেন না। বলবেন না যে, “যদি আমরা তোমাদের সাহায্য করি তবে আমেরিকা ও পশ্চিমারা আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে”, কারণ আল্লাহ্’র রাস্তায় সহায়তা ও সমর্থনকারী মু’মিনের সামনে শত্রুর পা কেঁপে উঠবে এবং তাদের শক্তি-সামর্থ্য ধ্বসে পড়বে। তিনি (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বলে
নঃ

وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِينَ ﴿٤٧﴾

“এবং মু’মিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।” [সূরা আর-রূমঃ ৪৭]

এই হচ্ছে আপনাদের প্রতি আমাদের চূড়ান্ত আহ্বানের পূর্ববর্তী আহ্বান, আমরা আপনাদেরকে স্মরণ করাতে চাই আপনাদের প্রকৃত শক্তি-সামর্থ্য ও শত্রুদের দূর্বলতা সম্পর্কে। আপনারা হচ্ছেন মুসলিম, যারা আল্লাহকে বিশ্ব জাহানের রব হিসেবে, ইসলামকে নিজেদের দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিজেদের নবী হিসেবে বিশ্বাস করেন। পরাক্রমশালী রব-এর কারণেই আপনারা শক্তিশালী

لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ ﴿٣٩﴾

“আল্লাহ্ প্রদত্ত শক্তি ব্যতীত আর কোনো শক্তি নাই” [সূরা আল-কাহ্ফঃ ৩৯]

এবং আপনাদের দ্বীন-এর কারণে আপনারা সম্মানিত

وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ ﴿٨﴾

“সমস্ত সম্মানতো শুধু আল্লাহ্, তাঁর রাসূল এবং মু’মিনদের জন্যই।” [সূরা মুনাফিকুনঃ]

...এই হচ্ছে আপনাদের প্রতি আমাদের চূড়ান্ত আহ্বানের পূর্ববর্তী আহ্বান, আমরা পূর্বের মতো এবারও জোর দিয়ে বলছি যে আল্লাহ্
 ইচ্ছায় আপনারা আপনাদের শত্রুদের পরাস্ত করতে সক্ষম। কাফির সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রসমূহ বাহ্যিক দিক থেকে শক্তিশালী দেখালেও বাস্তবে দূর্বল। তারা সমরাস্ত্রের দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও তাদের মধ্যে বীরোচিত পুরুষের অভাব। কম অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত কিন্তু বীরোচিতভাবে লড়াইয়ে পারদর্শী ঈমানদারদের একটি বাহিনীর সামনে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত কাপুরুষ বাহিনী নিতান্তই দূর্বল। এটাই কাফিরদের বিরুদ্ধে খিলাফতের সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের প্রকৃত চিত্র। সুতরাং, যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সমরাস্ত্রের দিক থেকে এগিয়ে থাকার কোন মূল্য নাই, কারণ মুসলিমগণ একটি সত্য ও প্রাণসঞ্চারকারী আক্বীদা ধারণ করে, যা তাদেরকে এমনভাবে যুদ্ধের সক্ষমতা প্রদান করে যার সাথে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যালিমদের তুলনা চলে না। তাছাড়া, অচীরেই তারা এই সত্যকে স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করবে, যখন আল্লাহর ইচ্ছায় খিলাফতের সূর্য্য উদয় হবে এবং তা একের পর এক বিজয়ের দিকে ধাবিত হবে, সমস্ত ভূ-খন্ড হতে যালিমদের বিতাড়িত করবে, যদি তাদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য কোন স্থান শূণ্য থাকে...

وَلَتَعْلَمُنَّ نَبَأَهُ بَعْدَ حِينٍ ﴿٨٨﴾

“তোমরা কিছুকাল পরে এর সংবাদ অবশ্যই জানতে পারবে।” [সূরা ছো’য়াদঃ ৮৮]

এই হচ্ছে আপনাদের প্রতি আমাদের চূড়ান্ত আহ্বানের পূর্ববর্তী আহ্বান, আমরা আপনাদের সমর্থন ও সহায়তা চাচ্ছি, সুতরাং, আমাদের সমর্থনে যারা অগ্রবর্তী তাদের সাথে শামীল হন। আমরা আপনাদের দিকে আমাদের হাতকে প্রসারিত করলাম, একে আঁকড়ে ধরুন এবং সেইসব প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগ দিন যারা ইতিমধ্যে আমাদের সাথে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন, একটি কাফেলা প্রায় যাত্রা শুরুর পথে, সুতরাং সেই সফরে যোগ দিন।

وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هُوَ ۖ قُلْ عَسَىٰ أَن يَكُونَ قَرِيبًا ﴿٥١﴾

“অতঃপর তারা বলবেঃ এটা কবে হবে? বলুনঃ হবে, সম্ভবতঃ শীঘ্রই।” [সূরা আল-রাঃ ৫১]

আমরা আল্লাহ্‌র সহায়তা ও প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে সন্তুষ্টচিত্ত।

وَيَوْمَئِذٍ يَفْرَحُ الْمُؤْمِنُونَ ﴿٤﴾ بِنَصْرِ اللَّهِ ۚ يَنصُرُ مَن يَشَاءُ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ ﴿٥﴾

“সেদিন মু’মিনগণ আনন্দিত হবে, আল্লাহ্’র সাহায্যে। তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।” [সূরা আ-রুমঃ ৪-৫]


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ প্রেস বিজ্ঞপ্তিটির সাথে আহ্বানটির কপি এবং হিযবুত তাহরীর-এর আমীর বিশিষ্ট ফকীহ্ শেখ আতা’ ইবনে খলিল আবু আর-রাশতা-এর বক্তব্যের অডিও কপি সংযুক্ত করা হলো।





হিযবুত তাহরীর-এর মিডিয়া কার্যালয়, উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ

Mobile: +8801798367640                    Skype: htmedia.bd
New official Website: www.ht-bangladesh.info
হিযবুত তাহরীর-এর আমীর শেখ আতা’ ইবনে খলিল আবু-রাশতা-এর ফেসবুক লিংকঃ www.facebook.com/Ata.AbualRashtah
fb page: PeoplesDemandBd
Hizbut Tahrir official website: www.hizb-ut-tahrir.org
Hizbut Tahrir Media Website:
 www.hizb-ut-tahrir.info