প্রেস বিজ্ঞপ্তি
হে দেশবাসী! খুনি
এই শাসকদের অপসারণ করুন; ৪ বছর বয়সী শিশু জিহাদের মৃত্যুর জন্য নিঃসন্দেহে এই
হাসিনা সরকার দায়ী
গত শুক্রবার (০৫.১২.২০১৪)
বিকাল আনুমানিক সাড়ে তিনটার সময় ঢাকার শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনী মাঠে ৪ বছর বয়সী
শিশু জিহাদ তার বন্ধুদের সাথে খেলার সময় গভীর নলকূপের (পানির পাইপ) ভেতর পড়ে যায়।
এলাকাবাসী দেশীয় উদ্ধার পদ্ধতি ব্যবহার করে ২৪ ঘন্টা পর জিহাদের মরদেহ নলকূপ থেকে
বের করে আনে। এই ২৪ ঘন্টা যাবৎ সমগ্র দেশের জনগণ এই সরকারের ব্যর্থতাগুলো
প্রত্যক্ষ করেছে এবং জেনেছে –
১. সরকার কলোনীতে
বসবাসরত জনগণ এবং তাদের সন্তানদের কোনো তোয়াক্কা না করে গভীর নলকূপটির মুখ খোলা
রেখেছিল এবং এটাই দেশের একমাত্র ঢাকনাবিহীন গভীর নলকূপ, ড্রেন এবং মেইনহোল নয়; বরং
সমগ্র ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে এরকম শত শত বিদ্যমান।
২. ঘটনার মাত্র
দুইদিন আগে ঠিক একইরকম ঘটনার সুত্রপাত হওয়ার পর জনগণের দাবি সত্ত্বেও সরকার কূপটির
মুখ বন্ধ করেনি, যেখানে ঐ একই নলকূপে আরেকটি শিশু পড়েছিল এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া
তা’আলার অশেষ রহমতে সে বেঁচে গিয়েছিল।
৩. সরকার এমন একজন
চরম অজ্ঞ ব্যক্তি, আসাদুজ্জামান খান কামালকে রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বানিয়েছে, যে শত শত মানুষের মুখের কথাকে সম্পুর্ণ উড়িয়ে দিয়ে, গভীর নলকূপে জিহাদের
পড়ে যাওয়ার ঘটনাকে গুজব আখ্যা দিয়েছে। এমনকি তার আওতাধীন পুলিশ সদস্যরা জিহাদের
বাবাকে জিহাদ হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক করে রাখে! আমরা
এতে একেবারেই আশ্চর্য নই; কারণ এই মন্ত্রী শিশু জিহাদের টানে কিংবা জনগণের প্রতি
দায়িত্ববোধ থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হয়নি, বরং শুধুমাত্র তার উপস্থিতিকালীন সময়ে
যদি জিহাদ উদ্ধার হয় তখন সে যাতে তার প্রধানমন্ত্রীর এবং তার সরকারের “সাফল্যের
গল্পের” গুণ-কীর্তন গাইতে পারে।
৪. এই শাসকগোষ্ঠী
এতো বছরেও এমন একটি জরুরী সেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়নি যার রয়েছে দক্ষ এবং
কার্যকরীভাবে একটি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার মতো যথাযথ উপকরণ এবং ট্রেনিং।
কাজের মধ্যে চরম সমন্বয়হীনতা এবং বিশৃঙ্খল অবস্থা ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা এবং যারা
টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছেন তাদের সবার কাছে তা সুস্পষ্ট দৃশ্যমান ছিল।
হে দেশবাসী!
আপনাদের বিষয়াদির
তত্ত্বাবধানে সরকারের ব্যর্থতার তালিকা সম্পর্কে আপনারা ভালোভাবেই অবগত আছেন। ইহা
এমন একটি তালিকা নয় যা এক/দুই পৃষ্ঠায় শেষ করা যাবে কিংবা তার প্রয়োজন আছে। বরং
আমরা আপনাদেরকে সমাধানের বিষয়ে পুনরাবৃত্তি করতে চাই; এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে এমন
একটি শাসনব্যবস্থা এবং শাসকগণ, যারা নিষ্ঠা, যত্ন এবং সচেতনতা সহকারে আপনাদের
বিষয়াদির তত্ত্বাবধান করবে এবং তা হচ্ছে ইসলামী খিলাফত, যেখানে উমর বিন খাত্তাব-এর
মতো শাসকগণ যারা রাষ্ট্রের সীমানা এবং সীমানার বাইরে কোনো মানুষতো দূরের কথা একটি
পশুও যদি রাস্তায় এবং চলার পথে হোঁচট খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তার জন্য নিজেকে দায়ী
মনে করেন: “ইরাকের রাস্তায় যদি একটি ছাগল হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে যায়, আমার ভয় হয়
যে আল্লাহ্ আমাকে প্রশ্ন করবেন, হে উমর তুমি কেন তার জন্য রাস্তাটি মসৃন করোনি।” যদি এবং যতক্ষন না আপনারা বর্তমান খুনি
শাসকদের অপসারণ করে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন, ততক্ষন পর্যন্ত মৃত্যু এবং
কষ্ট-যন্ত্রনার এই চক্রের পরিসমাপ্তি ঘটবে না যা আপনাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে
রেখেছে।
হিযবুত তাহরীর কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ


হিযবুত তাহরীর, শাহজাহানপুর-এর সদস্যগণ সরকার কর্তৃক জিহাদের হত্যার
প্রতিবাদে আজ বাদ আসর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনীর শাপলা জামে মসজিদ-এ সমাবেশ ও
বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। তার পূর্বে হিযবুত তাহরীর-এর
একটি প্রতিনিধিদল সমবেদনা জানাতে জিহাদের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে
সাক্ষাৎ করেন।
হিযবুত তাহরীর-এর মিডিয়া কার্যালয়
উলাই’য়াহ বাংলাদেশ
No comments:
Post a Comment