বৃহস্পতিবার, ২৪ শা’বান, ১৪৩৬ হিজরি ১১. ০৬. ২০১৫ ইং
::প্রেস বিজ্ঞপ্তি::
ভারতের সঙ্গে
দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে বাংলাদেশের জন্য কোন সফলতা ছিলনা; বরং হাসিনা শুধুমাত্র তার
ক্ষমতাকে সুরক্ষিত রাখতে উম্মাহ্’র সম্পদকে মুসলিমদের স্বঘোষিত শত্রুর নিকট সঁপে
দিয়েছে
৬ জুন, ২০১৫,
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের সময় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কানেকটিভিটি ও
অবকাঠামো হতে শুরু করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্বারক
স্বাক্ষরিত হয়। মোদির সফরের এসব চুক্তি হতে বাংলাদেশ যেসব কাল্পনিক সুবিধা পেতে
পারে তা নিয়ে মিডিয়াতে যে তোলপাড় দেখা যাচ্ছে তা মূলত সত্যের উপর অপঘাত ছাড়া আর
কিছুই না। যেসব রাজনৈতিক জ্ঞানশূন্য ও বিক্রিত ব্যক্তিরা সফরটিকে বিশেষ গুরুত্ব
দিয়েছে শুধুমাত্র তারাই একথা বিশ্বাস করে যে, ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে বাংলাদেশের
অর্থনৈতিক সুবিধা আসবে। অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে ভারত নিজেই একটি দারিদ্র-জর্জরিত
দেশ, যে নিজেই তার অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ এবং যার ফলে সে এই বছর ১৯৪
মিলিয়ন ক্ষুধার্ত মানুষ নিয়ে বিশ্ব তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। তাছাড়া, বাংলাদেশের
প্রতি সর্বদা শত্রুরাষ্ট্রের ভূমিকা পালনকারী ভারতের মতো এরকম একটি উগ্র জাতীয়তাবাদী
দেশ কেন আমাদেরকে সাহায্য করতে মরিয়া হবে, যদি না বাংলাদেশের কাছ থেকে তার নিজস্ব
অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্য না থাকে? ভারত-ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক,
অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের লেখক রবি শেখর নারায়ন সিং কয়েক বছর পূর্বে তার
“এশিয়ান স্ট্র্যাটিজিক এন্ড মিলিটারি
পারসপেক্টটিভ” শিরোনামের বইয়ে লিখেছে যে, কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা ট্রানজিট রুট (গত
শনিবার হাসিনা ও মোদি কর্তৃক উদ্বোধনকৃত) ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক
কল্যাণ বৃদ্ধি করতে পারে। ভারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালীকরণের এসব চেষ্টা ছাড়াও
হাসিনা ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে বঙ্গোপসাগরে ভারতের
আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত উপস্থিতিকে সহযোগীতা করতে সম্মত হয়েছে।
তাছাড়া ৭৭ মিলিয়ন
বিদ্যুৎহীন ঘরবাড়ি নিয়ে ভারত যে কার্যতঃ একটি বিদ্যুৎ সঙ্কটের টাইম বোমার উপর
অবস্থান করছে তা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। যেখানে ভারতের উত্তরাঞ্চল এখনো ৫০০০
মেগাওয়াটেরও বেশী বিদ্যুতের ঘাটতিতে ভুগছে, সেখানে কেন সে নিজ দেশের জনগণকে ৪৬০০
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হতে বঞ্চিত করবে, যা ভারতীয় কোম্পানীগুলো বাংলাদেশে উৎপাদন করবে?
নিজ দেশের কোম্পানীগুলোর জন্য লাভের রাস্তা বের করাই এই মুশরিক রাষ্ট্রের লক্ষ্য
নয়, বরং সে বাংলাদেশের কৌশলগত জ্বালানী খাতের উপর কর্তৃত্ব নিতে চায়। তাই অপরাধী
হাসিনা জ্বালানী সম্পদ ও স্পর্শকাতর স্থানগুলোকে আমাদের শত্রু রাষ্ট্রের হাতে তুলে
দিয়ে তার চরম বিশ্বাসঘাতকার নজির দেখাচ্ছে। শুধু তাই নয়, যেখানে শত্রুরাষ্ট্র ভারত
আমাদের তৈরি পোষাক খাতকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে এবং ইতিমধ্যে আমাদের পাটশিল্পকে
ধ্বংস করে দিয়েছে, সেখানে নির্লজ্জ হাসিনা শুধুমাত্র ভারতীয় কোম্পানীকে বিশেষ
অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রদানে সম্মত হয়েছে!
হে বাংলাদেশের নিষ্ঠাবান মুসলিমগণ!
এসব চুক্তিসমূহ
নিতান্তই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় নয় যেখান থেকে দুই পক্ষই সুবিধা
লাভ করবে। বরং, এটা উম্মাহ্’র ধন-সম্পদকে মুশরিক রাষ্ট্র ভারতের হাতে তুলে দেয়া।
বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য পরাজয় এবং গ্লানি বয়ে আনতে বিশ্বাসঘাতক হাসিনা তার কোন
চেষ্টাই বাদ রাখছে না। সুতরাং খিলাফত পুণঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহরীর-এর সাথে রাজনৈতিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করুন; খিলাফত
রাষ্ট্র মুশরিকদের কাছে সম্মান ও ক্ষমতা প্রত্যাশী এসব আওয়ামী-বিএনপি শাসকগোষ্ঠীর
হাত থেকে এদেশকে মুক্ত করবে এবং ভারতকে পুনরায় ইসলামী শাসনের অধীনে নিয়ে আসবে।
بَشِّرِ الْمُنَافِقِينَ بِأَنَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا ﴿١٣٨﴾
الَّذِينَ يَتَّخِذُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ
ۚ
أَيَبْتَغُونَ عِندَهُمُ الْعِزَّةَ فَإِنَّ الْعِزَّةَ لِلَّهِ
جَمِيعًا ﴿١٣٩﴾
“সেসব মুনাফিককে
সুসংবাদ শুনিয়ে দিন যে, তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব; যারা
মুসলিমদের বর্জন করে কাফিরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান
প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান শুধু আল্লাহরই জন্য।” [সূরা আন-নিসাঃ ১৩৮-১৩৯]
হিযবুত তাহরীর-এর মিডিয়া কার্যালয়, উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ
Mobile: +8801798367640 Skype: htmedia.bd
হিযবুত
তাহরীর-এর আমীর শেখ আতা’ ইবনে খলিল
আবু-রাশতা-এর ফেসবুক লিংকঃ www.facebook.com/Ata.AbualRashtah
Hizbut Tahrir official website: www.hizb-ut-tahrir.org
Hizbut Tahrir Media Website: www.hizb-ut-tahrir.info
Hizbut Tahrir Media Website: www.hizb-ut-tahrir.info